ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজধানীতে ৩০টি স্থানে কম দামে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৩২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গরু, খাসি, মুরগির মাংস, দুধ এবং ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার মাধ্যমে আসন্ন রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা চালু করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

রাজধানীতে ৩০টি স্থানে ট্রাকে করে কম দামে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করা শুরু হয়েছে। এবার মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, শুধু মাংস নয় রাজধানীর আটটি পয়েন্টে কম দামে মিলবে মাছও।

রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ বাজারে সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ, মাংস বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হয়েছেন আব্দুর রহমান।

এ কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (১ ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রয় করা হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি গাড়িতে থাকবে ২০০ লিটার দুধ, ডিম ৪ হাজার পিস, গরুর মাংস ১০০ কেজি, খাসির মাংস ১০ কেজি। এছাড়া রাজধানীর ৮টি জায়গায় মাছ বিক্রি করা হবে। প্রতি গাড়িতে ৩০০ কেজি করে থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর ৮টি স্থানে সুলভ মূল্যে মাছ বিক্রি করা হবে। এসব স্থানে রুই ২৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, পাবদা ৩৩০ টাকা, পাঙাশ ১৩০ টাকা, ফিস ফিললেট ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হবে। সকাল ১০টা থেকে এসব পণ্য বিক্রি শুরু হবে।’

এতে জানানো হয়, ১ম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে পরিচালিত হবে। এছাড়া স্থায়ী বাজারসহ আরো ৫টি স্থানে মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো : (১) নতুনবাজার (বাড্ডা), (২) কড়াইল বস্তি (বনানী), (৩) খামারবাড়ী (ফার্মগেট), (৪) আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), (৫) গাবতলী, (৬) দিয়াবাড়ী (উত্তরা), (৭) জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), (৮) ষাটফুট রোড (মিরপুর), (৯) খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), (১০) সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), (১১) সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), (১২) আরামবাগ (মতিঝিল), (১৩) রামপুরা, (১৪) কালসী (মিরপুর), (১৫) যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), (১৬) বসিলা (মোহাম্মদপুর), (১৭) হাজারীবাগ (শিকশন), (১৮) লুকাস (নাখালপাড়া), (১৯) আরামবাগ (মতিঝিল), (২০) কামরাঙ্গীর চর, (২১) মিরপুর ১০, (২২) কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), (২৩) তেজগাঁও, (২৪) পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) (২৫) কাকরাইল।

স্থায়ী বাজার : (২৬) মিরপুর শাহ আলি বাজার, (২৭) মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট (২৮) নতুন বাজার (১০০ ফুট), (২৯) কমলাপুর, (৩০) কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজধানীতে ৩০টি স্থানে কম দামে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি শুরু

আপডেট সময় : ০১:৩২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

গরু, খাসি, মুরগির মাংস, দুধ এবং ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার মাধ্যমে আসন্ন রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা চালু করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

রাজধানীতে ৩০টি স্থানে ট্রাকে করে কম দামে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করা শুরু হয়েছে। এবার মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, শুধু মাংস নয় রাজধানীর আটটি পয়েন্টে কম দামে মিলবে মাছও।

রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ বাজারে সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ, মাংস বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হয়েছেন আব্দুর রহমান।

এ কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (১ ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রয় করা হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি গাড়িতে থাকবে ২০০ লিটার দুধ, ডিম ৪ হাজার পিস, গরুর মাংস ১০০ কেজি, খাসির মাংস ১০ কেজি। এছাড়া রাজধানীর ৮টি জায়গায় মাছ বিক্রি করা হবে। প্রতি গাড়িতে ৩০০ কেজি করে থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর ৮টি স্থানে সুলভ মূল্যে মাছ বিক্রি করা হবে। এসব স্থানে রুই ২৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, পাবদা ৩৩০ টাকা, পাঙাশ ১৩০ টাকা, ফিস ফিললেট ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হবে। সকাল ১০টা থেকে এসব পণ্য বিক্রি শুরু হবে।’

এতে জানানো হয়, ১ম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে পরিচালিত হবে। এছাড়া স্থায়ী বাজারসহ আরো ৫টি স্থানে মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো : (১) নতুনবাজার (বাড্ডা), (২) কড়াইল বস্তি (বনানী), (৩) খামারবাড়ী (ফার্মগেট), (৪) আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), (৫) গাবতলী, (৬) দিয়াবাড়ী (উত্তরা), (৭) জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), (৮) ষাটফুট রোড (মিরপুর), (৯) খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), (১০) সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), (১১) সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), (১২) আরামবাগ (মতিঝিল), (১৩) রামপুরা, (১৪) কালসী (মিরপুর), (১৫) যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), (১৬) বসিলা (মোহাম্মদপুর), (১৭) হাজারীবাগ (শিকশন), (১৮) লুকাস (নাখালপাড়া), (১৯) আরামবাগ (মতিঝিল), (২০) কামরাঙ্গীর চর, (২১) মিরপুর ১০, (২২) কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), (২৩) তেজগাঁও, (২৪) পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) (২৫) কাকরাইল।

স্থায়ী বাজার : (২৬) মিরপুর শাহ আলি বাজার, (২৭) মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট (২৮) নতুন বাজার (১০০ ফুট), (২৯) কমলাপুর, (৩০) কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।