ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আলোচনায় বসার সাহস থাকা উচিত, ইউক্রেনকে পোপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের আলোচনায় বসার সাহাস থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের শীর্ষ নেতা পোপ ফ্রান্সিস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স দাবি করেছে, গত মাসে রেকর্ড করা পোপ ফ্রান্সিসের একটি সাক্ষাৎকার তাদের হাতে এসেছে। সাক্ষাৎকারটি আগামী ২০ মার্চ সুইজারল্যান্ডের সম্প্রচারমাধ্যম আরএসআইয়ে প্রচারের কথা রয়েছে। এ সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ গতকাল শনিবার রয়টার্স দেখেছে বলে জানিয়েছে।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতিমধ্যে এই যুদ্ধ লাখ লাখ সাধারণ ইউক্রেনীয়র জীবন কেড়ে নিয়েছে। যুদ্ধ বন্ধে শুরু থেকেই বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হয়নি।

গত শুক্রবারেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তিনি একটি সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তবে রয়টার্স বলছে, এরদোয়ানের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের আগেই পোপ ফ্রান্সিসের সাক্ষাৎকারটি রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে শান্তিচুক্তি করবেন না। আগে ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সকল রুশ সেনাকে প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর তিনি শান্তি আলোচনায় বসবেন।

কিন্তু রাশিয়াও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা কিয়েভের কোনো শর্ত মেনে শান্তি আলোচনায় বসবে না।

এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক পক্ষ বলছে, রুশ বাহিনীর আক্রমণ যেহেতু ইউক্রেন প্রতিহত করতে পারছে না, সেহেতু তাদের আত্মসমর্পণ করা উচিত। অপরপক্ষ বলছে, ইউক্রেন যদি হাল ছেড়ে দেয়, এর অর্থ হচ্ছে, শক্তিশালীদের যা খুশি তাই কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়া।

সাক্ষাৎকারগ্রহীতা এই পরিস্থিতি তুলে ধরলে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘শক্তিশালী হলো তারা, যারা পরিস্থিতিগুলো পর্যবেক্ষণ করছে, মানুষের কথা ভাবছে এবং ‘সাদা পতাকা’ ও আলোচনার সাহস রাখে।’ পোপ ফ্রান্সিস সরাসরি শান্তি আলোচনা শব্দটি ব্যবহার না করে ‘সাদা পতাকা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

পোপ আরও বলেন, আলোচনা শব্দটি একটি সাহসী শব্দ। যখন আপনি দেখছেন হেরে যাচ্ছেন, সবকিছু ঠিকমতো এগোচ্ছে না, তখন আপনার আলোচনার জন্য সাহস থাকা উচিত। আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলোর সহযোগিতায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কত মানুষ মরলে যুদ্ধের অবসান হবে—এমন প্রশ্ন তুলে পোপ আরও বলেন, ‘আলোচনায় বসতে কারও লজ্জাবোধ হতে পারে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সকল লজ্জা ভুলে আলোচনায় বসা উচিত, মধ্যস্থতাকারী দেশ খুঁজে বের করা উচিত।’ সাক্ষাৎকারগ্রহীতা প্রশ্ন করেন, আপনি কি মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত? জবাবে পোপ বলেন, আমি রাজি আছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আলোচনায় বসার সাহস থাকা উচিত, ইউক্রেনকে পোপ

আপডেট সময় : ০১:০৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের আলোচনায় বসার সাহাস থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের শীর্ষ নেতা পোপ ফ্রান্সিস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স দাবি করেছে, গত মাসে রেকর্ড করা পোপ ফ্রান্সিসের একটি সাক্ষাৎকার তাদের হাতে এসেছে। সাক্ষাৎকারটি আগামী ২০ মার্চ সুইজারল্যান্ডের সম্প্রচারমাধ্যম আরএসআইয়ে প্রচারের কথা রয়েছে। এ সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ গতকাল শনিবার রয়টার্স দেখেছে বলে জানিয়েছে।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতিমধ্যে এই যুদ্ধ লাখ লাখ সাধারণ ইউক্রেনীয়র জীবন কেড়ে নিয়েছে। যুদ্ধ বন্ধে শুরু থেকেই বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হয়নি।

গত শুক্রবারেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তিনি একটি সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তবে রয়টার্স বলছে, এরদোয়ানের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের আগেই পোপ ফ্রান্সিসের সাক্ষাৎকারটি রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে শান্তিচুক্তি করবেন না। আগে ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সকল রুশ সেনাকে প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর তিনি শান্তি আলোচনায় বসবেন।

কিন্তু রাশিয়াও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা কিয়েভের কোনো শর্ত মেনে শান্তি আলোচনায় বসবে না।

এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক পক্ষ বলছে, রুশ বাহিনীর আক্রমণ যেহেতু ইউক্রেন প্রতিহত করতে পারছে না, সেহেতু তাদের আত্মসমর্পণ করা উচিত। অপরপক্ষ বলছে, ইউক্রেন যদি হাল ছেড়ে দেয়, এর অর্থ হচ্ছে, শক্তিশালীদের যা খুশি তাই কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়া।

সাক্ষাৎকারগ্রহীতা এই পরিস্থিতি তুলে ধরলে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘শক্তিশালী হলো তারা, যারা পরিস্থিতিগুলো পর্যবেক্ষণ করছে, মানুষের কথা ভাবছে এবং ‘সাদা পতাকা’ ও আলোচনার সাহস রাখে।’ পোপ ফ্রান্সিস সরাসরি শান্তি আলোচনা শব্দটি ব্যবহার না করে ‘সাদা পতাকা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

পোপ আরও বলেন, আলোচনা শব্দটি একটি সাহসী শব্দ। যখন আপনি দেখছেন হেরে যাচ্ছেন, সবকিছু ঠিকমতো এগোচ্ছে না, তখন আপনার আলোচনার জন্য সাহস থাকা উচিত। আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলোর সহযোগিতায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কত মানুষ মরলে যুদ্ধের অবসান হবে—এমন প্রশ্ন তুলে পোপ আরও বলেন, ‘আলোচনায় বসতে কারও লজ্জাবোধ হতে পারে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সকল লজ্জা ভুলে আলোচনায় বসা উচিত, মধ্যস্থতাকারী দেশ খুঁজে বের করা উচিত।’ সাক্ষাৎকারগ্রহীতা প্রশ্ন করেন, আপনি কি মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত? জবাবে পোপ বলেন, আমি রাজি আছি।