১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমুদ্রের অসীম সম্পদ অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সমুদ্রসীমায় দেশের অধিকার নিশ্চিত করেছে। এর ফলে সমুদ্রের অসীম সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

আজ রোববার (১০ই মার্চ) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ড সদরদপ্তরে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতিসংঘ ১৯৮২ সালে সমুদ্রসীমা আইন প্রণয়ন করলেও বঙ্গবন্ধু এ বিষয়ে আইন তৈরি করেছিলেন ১৯৭৪ সালেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও রক্ষায় কোস্টগার্ড ভূমিকা রাখছে। তিনি আশা করেন, উন্নত প্রযুক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে তাদের এই দায়িত্বপালন আরও বেগবান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে কোস্টগার্ডকে গড়ে তুলছে। কারণ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে‌ কোস্টগার্ডের যথাযথ ভূমিকা প্রয়োজন। তিনি জানান, সরকারের সমস্ত উন্নয়ন পরিকল্পনায় কোস্টগার্ডও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংযোগস্থল হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে কোস্টগার্ডকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বানও জানান তিনি।

এর আগে গভীর সমুদ্রের তথ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সাথে যুক্ত করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নতুন পাঁচটি ডিস্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখা কোস্টগার্ড সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে কাজ করা কোস্টগার্ড সদস্যদের যোগাযোগ আরো নিবিড় করতে ভিস্যাটনেট প্রযুক্তিরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে কোস্টগার্ড সদস্যদের কার্যক্রম নিয়ে তুলে ধরা অডিও ভিজুয়াল প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী।

বাংলাদেশের আওতাধীন জলসীমা নিয়ন্ত্রণ ও উপকূলীয় অঞ্চলের জলদস্যুতা দমন, চোরাচালান ও পাঁচার রোধ। মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং সমুদ্রের নিরাপত্তা প্রদানসহ আরো নানা কাজের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে আধা সামরিক বাহিনী হিসেবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

সমুদ্রের অসীম সম্পদ অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০২:১৪:৪১ অপরাহ্ন, রোববার, ১০ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সমুদ্রসীমায় দেশের অধিকার নিশ্চিত করেছে। এর ফলে সমুদ্রের অসীম সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

আজ রোববার (১০ই মার্চ) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ড সদরদপ্তরে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতিসংঘ ১৯৮২ সালে সমুদ্রসীমা আইন প্রণয়ন করলেও বঙ্গবন্ধু এ বিষয়ে আইন তৈরি করেছিলেন ১৯৭৪ সালেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও রক্ষায় কোস্টগার্ড ভূমিকা রাখছে। তিনি আশা করেন, উন্নত প্রযুক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে তাদের এই দায়িত্বপালন আরও বেগবান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে কোস্টগার্ডকে গড়ে তুলছে। কারণ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে‌ কোস্টগার্ডের যথাযথ ভূমিকা প্রয়োজন। তিনি জানান, সরকারের সমস্ত উন্নয়ন পরিকল্পনায় কোস্টগার্ডও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংযোগস্থল হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে কোস্টগার্ডকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বানও জানান তিনি।

এর আগে গভীর সমুদ্রের তথ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সাথে যুক্ত করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নতুন পাঁচটি ডিস্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখা কোস্টগার্ড সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে কাজ করা কোস্টগার্ড সদস্যদের যোগাযোগ আরো নিবিড় করতে ভিস্যাটনেট প্রযুক্তিরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে কোস্টগার্ড সদস্যদের কার্যক্রম নিয়ে তুলে ধরা অডিও ভিজুয়াল প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী।

বাংলাদেশের আওতাধীন জলসীমা নিয়ন্ত্রণ ও উপকূলীয় অঞ্চলের জলদস্যুতা দমন, চোরাচালান ও পাঁচার রোধ। মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং সমুদ্রের নিরাপত্তা প্রদানসহ আরো নানা কাজের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে আধা সামরিক বাহিনী হিসেবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।