ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসরায়েলের হামলার মধ্যেই গাজায় শুরু হয়েছে রোজা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডে শুরু হয়েছে রোজা। তবে এরমধ্যেও সেখানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩১ হাজার। ইসরায়েলের এই হামলায় নিহতদের ৭২ শতাংশই নারী ও শিশু।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। রোববার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরুজালেম শহরে অবস্থিত পবিত্র আল–আকসা মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলের হামলা। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত রোববার জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় সেখানে অন্তত ৩১ হাজার ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৬৫৪ জন। এর মধ্যে আগের ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৮৫ জন।

আল জাজিরা বলছে, রোজা শুরু হলেও সমগ্র গাজা উপত্যকা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং ত্রাণ বিতরণে ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকাটিতে অনাহারে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা। তাঁরা কয়েকমাস ধরেই ত্রাণ পাচ্ছেন না। কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্ভিক্ষ এড়াতে চাইলে জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। পুরুষ ও তরুণদের মসজিদটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এদিকে গাজা সিটির তাল আল হাওয়ায় এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ১০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ওয়াফা। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এ হামলায় আহতদের আল শিফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রমজানকে কেন্দ্র করে গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি আশা দেখা গিয়েছিল। এ নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোয় আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। গাজায় হামলার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও নিয়মিত হামলা–অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত পাঁচ মাসে সেখানে চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে অনেককে।

গাজায় অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে পৌঁছেছে বলে উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে: ‘গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিহতদের ৭২ শতাংশই শিশু এবং নারী।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের হামলার মধ্যেই গাজায় শুরু হয়েছে রোজা

আপডেট সময় : ১১:০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডে শুরু হয়েছে রোজা। তবে এরমধ্যেও সেখানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩১ হাজার। ইসরায়েলের এই হামলায় নিহতদের ৭২ শতাংশই নারী ও শিশু।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। রোববার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরুজালেম শহরে অবস্থিত পবিত্র আল–আকসা মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলের হামলা। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত রোববার জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় সেখানে অন্তত ৩১ হাজার ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৬৫৪ জন। এর মধ্যে আগের ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৮৫ জন।

আল জাজিরা বলছে, রোজা শুরু হলেও সমগ্র গাজা উপত্যকা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং ত্রাণ বিতরণে ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকাটিতে অনাহারে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা। তাঁরা কয়েকমাস ধরেই ত্রাণ পাচ্ছেন না। কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্ভিক্ষ এড়াতে চাইলে জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। পুরুষ ও তরুণদের মসজিদটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এদিকে গাজা সিটির তাল আল হাওয়ায় এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ১০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ওয়াফা। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এ হামলায় আহতদের আল শিফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রমজানকে কেন্দ্র করে গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি আশা দেখা গিয়েছিল। এ নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোয় আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। গাজায় হামলার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও নিয়মিত হামলা–অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত পাঁচ মাসে সেখানে চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে অনেককে।

গাজায় অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে পৌঁছেছে বলে উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে: ‘গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিহতদের ৭২ শতাংশই শিশু এবং নারী।’