নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া
- আপডেট সময় : ১১:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
- / ৪০০ বার পড়া হয়েছে
৯৮ রানে আছেন অ্যালেক্স ক্যারি। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকারও ২ রান। ওভারের শেষ বলে স্ট্রাইকে প্যাট কামিন্স। চাইলে সে বলটা ঠেকিয়ে ওভার কাটিয়ে দিতে পারতেন, সতীর্থের সেঞ্চুরি বলে কথা। এশিয়ান কোনো দল হলে তাই হতো। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির জন্য যেমন করেছিল ভারত।
কিন্তু কামিন্সের ওসব নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে। অনিশ্চয়তার খেলায় পরের ওভারে যে ক্যারি ২ রান নিতে পারবেনই সে নিশ্চয়তা কই? বেন সিয়ারসের বল্টা লেংথে পেয়েই কাভার দিয়ে চমৎকার এক শটে চার। নিউজিল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩১ বছর ধরে টেস্ট না জেতার হতাশা আরও দীর্ঘ হচ্ছে ব্ল্যাক ক্যাপসের।
অথচ গতকাল মনে হয়েছিল ম্যাট হেনরি ও সিয়ার্স নিউজিল্যান্ডকে ভুলে যাওয়া স্বাদটা এনে দিতে যাচ্ছেন। ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়াকে দিন শেষে ৭৭ রানে পৌঁছে দিয়েছেন ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। দিন শুরু হতে না হতেই সৌদি আজ ফিরিয়ে দিয়েছেন হেডকে (১৮)। ৮০ রানে নেই অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট। জয়ের জন্য ১৯৯ রান দরকার।
এই সময় নিউজিল্যান্ড কোথায় অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরবে, উলটো মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারির প্রতি আক্রমণে দিশেহারা কিউই পেসাররা। ১৭৪ বলের জুটি স্বাগতিকদের হতাশায় ভুগিয়েছে, আর সে সঙ্গে তোলা ১৪০ রান অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের দিকে নিয়ে গেছে।
ম্যাচ যখন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল বলে মনে হচ্ছিল, তখন প্রাণ ফেরান সিয়ার্স। দুই মিচেল- ১০২ বলে ৮০ রান করা মার্শ ও মাত্র নামা স্টার্ককে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন এই ফাস্টবোলার।
কিন্তু তখন উইকেটে নামেন প্যাট কামিন্স। গত অ্যাশেজে প্রায় একই পরিস্থিতিতে নাথান লায়নকে নিয়ে যিনি ম্যাচ জিতিয়েছেন, আজ তো অন্যপ্রান্তে ৭১ রান করা ক্যারিই ছিলেন। দরকার ছিল আরও ৫৯ রান। ৬৪ বলের জুটিতে সেটা তুলে নিয়েছেন দুজন। ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন কামিন্স। ১২৩ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার। চতুর্থ ইনিংসে সফল রান তাড়ায় তাঁর চেয়ে বেশি রান অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র একজন কিপারই (গিলক্রিস্ট, ১৪৯) করতে পেরেছেন।