রমজানে ৫০ হাজার মানুষকে পুষ্টিকর খাবার দেবে এবি পার্টি
- আপডেট সময় : ০৮:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
- / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে
নিজেদের সীমিত সামর্থে পুরো রমজানে সমস্যাগ্রস্ত ৫০ হাজার মানুষের মাঝে নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করবে এবি পার্টি। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
‘মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্য কমান, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান, নৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় রমজান হোক প্রেরণা’-এই দাবি ও আহ্বানসূচক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের কাজ সরকার-রাষ্ট্রকে দায়িত্ব ও ব্যর্থতা সম্পর্কে সতর্ক করা। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করা। সব নাগরিকের দুর্দশা লাঘবে রাজনৈতিক দল নিজে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। এটা সরকারের দায়িত্ব।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, কিন্তু ডামি সরকারের চরম গাফেলতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী বিপন্ন জনগণের পাশে এসে দাঁড়াতে হয়। এবি পার্টি এ কারণেই রমজানে প্রতিদিন সমস্যাগ্রস্ত ১৫০০ মানুষের জন্য নিরাপদ পুষ্টিকর খাবারের আয়োজন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছর কিছুটা অপরিকল্পিত ও পরীক্ষামূলকভাবে আমরা এরকম সমস্যাগ্রস্ত মানুষদের জন্য পবিত্র রমজানকে উপলক্ষ করে ইফতারের সময় ‘গণইফতার’ আকারে একবেলা পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। গত বছরের মতো এবারও আমরা সাহস করে সেই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। পুষ্টিকর নিরাপদ খাবার দেয়ার আইডিয়াটিকে আমরা মডেল আকারে ছড়িয়ে দিতে চাই। ইতোমধ্যে অনেকে আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকায় সীমিত ও বৃহৎ আকারে এ কর্মসূচি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেসব উদ্যোক্তাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবি পার্টির সদস্যসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে গণ-ইফতার কর্মসূচির আহ্বায়ক এবং দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, প্রতিদিন এক দেড় হাজার সমস্যাগ্রস্ত মানুষকে একসঙ্গে বসিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইফতার করানোর যে কর্মসূচি গত বছর হাতে নিয়েছিলাম তা এবার আরও সুন্দরভাবে করার পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা। শৃঙ্খলার সঙ্গে খাবার বিতরণ রমজান ছাড়া অন্য সময়ে করা খুব কঠিন। আমরা এই মডেল নিয়ে গবেষণা করছি এবং সাফল্যের সঙ্গে অনুভব করছি যে, এ ধরনের মানবিক কর্মসূচি রাষ্ট্রীয়ভাবে সততার সঙ্গে করতে পারলে মহৎপ্রাণ বিত্তবানেরা আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসেন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কিন্তু আমাদের সরকার হলো পীড়নমূলক। জনগণের অধিকার হরণ করা এবং জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তোলাই তার কাজ। দেশের মানুষ আজ চরম সমস্যায় দিনাতিপাত করছে। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি। তারা না পারছে কারও কাছে হাত পাততে, না পারছে সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতে। এক চরম মানসিক কষ্টে চলছে তাদের জীবন।
রমজানে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি রোধে সরকারের উপুর্যুপুরি ব্যর্থতার সমালোচনা করে মেজর আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, সরকারি দলের মাস্তানদের চাঁদাবাজিতে প্রতিটি পাড়া মহল্লা আজ দোজখখানায় পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি দলের নেতারা বলেছেন অর্থ সংকটে নাকি তারা ইফতার মাহফিল করবে না। আসলে এটা এদেশের ৯০ ভাগ মানুষের ধর্মীয় যে সংস্কৃতি সেটা ধ্বংসেরই একটা চক্রান্ত। আমরা দেখতে পাচ্ছি নানা দিবস উদযাপন, নব্য সৃষ্ট লুটেরাদের বিনোদনের মাহফিল, বেগম পাড়ায় বাড়ি নিয়ে তাদের কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু রমজানের ইফতার নিয়ে সংকট।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমেনা বেগম, ফেরদৌসী আক্তার অপি, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুর রব জামিল, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।