ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রাথমিকের ৪ লাখ শিক্ষক ১৩ বছরেও পদোন্নতি পাননি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২৮:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ২৮ হাজার বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষক পদ খালি রয়েছে। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার লাখ শিক্ষক ১৩ বছরেও পদোন্নতি পাননি। সিদ্ধান্ত হলেও সৃষ্টি হয়নি সিনিয়র শিক্ষক পদ। পাশাপাশি গ্রেড বৈষম্য দূর না হওয়ায় চরম অসন্তুষ্ট শিক্ষকেরা। শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, এ অবস্থা চললে মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে না।

প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষকেরা বেতন পান ১৩তম গ্রেডে, আর প্রধান শিক্ষকেরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে। সহকারি শিক্ষকদের বেতন ১১তম এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতনের সিদ্ধান্ত ৫ বছর আগে হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, ‘গ্রাজুয়েট, মাস্টার্স এবং ডিপিই এর ট্রেনিং থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছি। বর্তমান বাজার মূল্য পরিস্থিতিতে এই গ্রেডে বেতন পাওয়ার কারণে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা অনেক কষ্টে দিন পার করছেন।’

শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, এত কম টাকায় শিক্ষকদের জীবনধারণ কষ্টকর। এ ছাড়া মর্যাদার প্রশ্নও রয়েছে। এজন্য অনেক মেধাবী এই পেশায় এসেও অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ বলেন, বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে বেতন স্কেল নির্ধারণ করা উচিত। পদোন্নতির যে ঘোষণা ছিল, সেটি বাস্তবায়ন না করা অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, মামলার কারণে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রাপ্তি ঝুলে আছে। তবে সহকারি শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো নিয়ে কাজ চলছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘সঠিক বিধি-বিধানের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ যে স্কেল অথবা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার সরকার অবশ্যই এটা সহানুভূতির সাথে বিবেচনায় নিয়েছে এবং করবে। যেহেতু আদালতে এখন মামলা চলমান আছে, মামলা নিষ্পত্তি হলেই আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’

গবেষকেরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের শিক্ষকেরা সবচেয়ে কম বেতন পান। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের পথে এটি অন্যতম বাধা।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রাথমিকের ৪ লাখ শিক্ষক ১৩ বছরেও পদোন্নতি পাননি

আপডেট সময় : ১১:২৮:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ২৮ হাজার বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষক পদ খালি রয়েছে। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার লাখ শিক্ষক ১৩ বছরেও পদোন্নতি পাননি। সিদ্ধান্ত হলেও সৃষ্টি হয়নি সিনিয়র শিক্ষক পদ। পাশাপাশি গ্রেড বৈষম্য দূর না হওয়ায় চরম অসন্তুষ্ট শিক্ষকেরা। শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, এ অবস্থা চললে মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে না।

প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষকেরা বেতন পান ১৩তম গ্রেডে, আর প্রধান শিক্ষকেরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে। সহকারি শিক্ষকদের বেতন ১১তম এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতনের সিদ্ধান্ত ৫ বছর আগে হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, ‘গ্রাজুয়েট, মাস্টার্স এবং ডিপিই এর ট্রেনিং থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছি। বর্তমান বাজার মূল্য পরিস্থিতিতে এই গ্রেডে বেতন পাওয়ার কারণে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা অনেক কষ্টে দিন পার করছেন।’

শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, এত কম টাকায় শিক্ষকদের জীবনধারণ কষ্টকর। এ ছাড়া মর্যাদার প্রশ্নও রয়েছে। এজন্য অনেক মেধাবী এই পেশায় এসেও অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ বলেন, বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে বেতন স্কেল নির্ধারণ করা উচিত। পদোন্নতির যে ঘোষণা ছিল, সেটি বাস্তবায়ন না করা অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, মামলার কারণে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রাপ্তি ঝুলে আছে। তবে সহকারি শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো নিয়ে কাজ চলছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘সঠিক বিধি-বিধানের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ যে স্কেল অথবা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার সরকার অবশ্যই এটা সহানুভূতির সাথে বিবেচনায় নিয়েছে এবং করবে। যেহেতু আদালতে এখন মামলা চলমান আছে, মামলা নিষ্পত্তি হলেই আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’

গবেষকেরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের শিক্ষকেরা সবচেয়ে কম বেতন পান। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের পথে এটি অন্যতম বাধা।