গ্রীষ্মে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কয়লা আমদানি বেড়েছে
- আপডেট সময় : ০২:০৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
- / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
দেশের প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। গ্রীষ্মকাল এলে লোডশেডিংয়ে বাড়ে ভোগান্তি। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের গুণতে হয় লোকসান। এবার গ্রীষ্মে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে কয়লা আমদানি বাড়িয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখন কয়লা খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকরা।
পায়রা তাপ বিদুৎকেন্দ্রের দুইটি ইউনিটে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন প্রয়োজন ১৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা। চলতি মাসের শুরুতেই পাঁচটি মাদার ভেসেল যোগে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫০ টন কয়লা আমদানি করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন চলছে কয়লা খালাস কার্যক্রম।
পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উপসহকারী প্রকৌশলী এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা প্রতিমাসে অন্তত ৮ থেকে ১০টি জাহাজ নিরবিচ্ছিন্নভাবে খালাস করে থাকি। যেটা আমাদের বিদ্যুৎ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে সাহায্য করছে।’
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যেই কয়লা আমদানি বাড়ানো হয়েছে। এতে বাণিজ্যিক ও আবাসিক পর্যায়ের চাহিদা পূরণ সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ‘আসা করা যাচ্ছে আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে আমাদের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। এর মাধ্যমে আমাদের শিল্পকারখানার যে বিদ্যুৎ চাহিদা আছে তা মিটবে।’
২০১৩ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এই বন্দরের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬৬ কোটি সাড়ে ৮ লাখ আয় করেছে সরকার। এর মধ্যে এ বছরের শুরু থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত পণ্য খালাসের মাধ্যমে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের শুষ্ক মৌসুম বা গরমকালে বেশি বিদ্যুৎ লাগবে। সেই কথা চিন্তা করেই আমাদের যে পরিমাণ প্রোডাকশন হবে তা দেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন হবে বলে মনে করি।’
বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হলে দেশের শিল্পখাত আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।