গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু। এরপর কয়েকদিন যুদ্ধবিরতি বাদ দিলে টানা হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গাজায় নিহত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এমনকি পবিত্র রমজানের প্রথমদিনও হামলা করেছে তারা। আল–আকসায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি অনেক মুসল্লিকে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর বলছে, এই হামলার অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা। রমজানের প্রথম দিন গত রোববার রাতে তারা তাদের নতুন একটি স্টুডিওর দেয়ালে লিখে রেখেছে নিহত ফিলিস্তিনিদের নাম। এতে নিরপরাধ শিশু ও নারীদের নামও ছিল।
আল–জাজিরার সাংবাদিক ইমান আয়াদ বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজারো মানুষ মারা গেছে। আমাদের এই স্টুডিওতে এলে আপনি এদের সবার নাম দেখতে পাবেন। আমরা এদের সংখ্যা হিসেবে রাখিনি। গাজায় এমন কোনো পরিবার নেই, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৯ হাজার নারী নিহত হয়েছেন। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনে (সিএসডব্লিউ) অংশ নেওয়া ফিলিস্তিনের নারীবিষয়ক মন্ত্রী আমাল হামাদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমাল হামাদ বিশ্বের সকল নারীকে ফিলিস্তিতি নারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আমাল হামাদ বলেন, ‘আমি গাজার বাসিন্দা। আমি দেখেছি গাজার মানুষেরা কীভাবে গণহত্যা, জাতিগত নির্মূল ও দুর্ভিক্ষের এক নজিরবিহীন যুদ্ধের শিকার হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের বেঁচে থাকার সব উপকরণ ধ্বংস করে ফেলেছে।’
যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীতা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গাজায় জরুরি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগ করা উচিত, যাতে গাজার সাধারণ মানুষ রমজান মাসে ‘জরুরি ত্রাণ’ পেতে পারে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে সম্প্রতি মিশরের রাজধানী কায়রোতে বৈঠকে বসেছিল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ৬৮তম কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ)। এটি চলবে ২২ মার্চ পর্যন্ত। লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে সিএসডব্লিউ কাজ করে থাকে।