২০২৩ সালে হঠাৎ ইউরোপের জন্য দুশ্চিন্তা হয়ে উঠে এসেছে সৌদি প্রো লিগ। চোখ কপালে তোলা অর্থ ছুড়ে মেরেছে ফুটবলারদের দিকে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমাররা ছুটে গেছেন সেখানে। এমনকি লিওনেল মেসি-কিলিয়ান এমবাপ্পেকেও টানার চেষ্টা করেছে সৌদি আরব।
অর্থের বলে এশিয়ান ক্লাব হয়েও ইউরোপের চ্যাম্পিয়নস লিগেও রোনালদো-নেইমারদের ক্লাবের খেয়ার সম্ভাবনার কথাও শোনা গিয়েছিল। সৌদি মালিকানায় চলে যাওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডের ১০ শতাংশ মালিক আমান্ডা স্টেভলি তো গত বৃহস্পতিবারই বলেছেন, তিনি নিশ্চিত একদিন চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলবে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব।
মূল চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে পারবে কিনা, সেটা পরের আলোচনা। সৌদি ক্লাবগুলো তো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগেই পারছে না লড়তে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, সাদিও মানে, ব্রজোভিচ-সমৃদ্ধ দল হয়েও গতকাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল –আইনের কাছে হেরে গেছে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে।
প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া আল-নাসরকে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শেষ করতে হলে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হতো। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শেষ হয় ৩-২ গোলে। ১১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচটা পেনাল্টি শুটআউটে নিয়ে যান রোনালদো। পেনাল্টিতেও নিজের শট ঠিকঠাক নিয়েছেন, বাকি সতীর্থরা সবাই মিস করেছেন। ফলে ৩-১ ব্যবধানে বিদায় আল নাসরের।
এর ফলে ২০১৮-১৯ সালের পর এই প্রথম এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যায় থেকে বাদ পড়েছে আল নাসর।
অবশ্য দায়টা রোনালদোদেরই। ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে কোথায় তেড়েফুঁড়ে উঠবে, উলটো প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেছেন সুফিয়ান রাহিমি। যোগ করা সময়ে আবদুল রহমান ঘারিব এক গোল শোধ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে আল নাসর। প্রতিপক্ষ গোলকিপারের বোকামিতে হয় আত্মঘাতী গোল। ৭২ মিনিটে অ্যালেক্স তেলেস দলকে এগিয়ে দেন। এর আগে মতার কয়েক গজ দূর থেকেও অবিশ্বাস্যভাবে গোল মিস করেছেন রোনালদো।
৩-২ গোলে ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ সমতা থাকায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে আবার গোল করে আল আইন। এর পাঁচ মিনিট আগেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় আল নাসর।
১১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন রোনালদো। ম্যাচ যায় পেনাল্টি শুটআউটে।
কিন্তু আল আইন যেখানে প্রথম তিনটি শটই জায়গামতো পাঠিয়েছে, সেখানে আল নাসরের ব্রজোভিচ ও অ্যালেক্স তেলেস নিজেদের শট মিস করেছেন। রোনালদো তৃতীয় শট ঠিকভাবে নিলেও ওতাভিও চতুর্থ শট নিতে এসে আবার ব্যর্থ হন।