ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ ফুটবলে জাদু দেখিয়েছেন পঞ্চগড়ের ইয়ারজান

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হতদরিদ্র ঘরের মেয়ে ইয়ারজান বেগমের ছোট বেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি গভীর টান। গ্রামের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানা বাধার মধ্যেও ফুটবল খেলা চালিয়ে গেছেন। স্কুল ফুটবল থেকে উঠে এসেছেন বাফুফের বয়সভিত্তিক দলে। সেখানেও বাজিমাত। নেপালে বাংলাদেশের সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ নারী দলের শিরোপা জয়ে ফাইনালে অসামান্য অবদান রেখেছেন এই গোলরক্ষক।

নেপালে এই সেই ফাইনাল। ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে তিন-তিনটি শট ফিরিয়ে বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৬ দলের শিরোপা জয়ে মূল অবদান রাখেন ইয়ারজান বেগম। এরপরই লাইমলাইটে উঠে আসেন পঞ্চগড়ের এই কিশোরী। দেশের ফুটবলপ্রেমী ধেকে বাফুফের কর্মকর্তা, সবার প্রশংসায় ভাসতে থাকেন। শিরোপা জয়ের আনন্দে ভেসেছে ইয়ারজানের পরিবারসহ এলাকার মানুষ। প্রতিবেশীরা একে অন্যকে মিষ্টি খাইয়েছেন।

পঞ্চগড় উপজেলা সদরের হাড়িভাসা ইউরিয়নের খোপড়াবান্দি গ্রামের এই ঝুপড়ি ঘরে বাবা-মা ও ছোট বোনের সাথে থাকেন সাফ তারকা ইয়ারজান। অভাবের সংসারে দুই বেলা খাবার জুটতো না। অসুস্থ বাবা আবদুর রাজ্জাক কাজ করতে পারেন না। অন্যের জমিতে দেড় থেকে দুইশো টাকা মজুরিতে সংসার চালান মা রেনু বেগম।

প্রত্যন্ত এলাকার গরীব ঘরের মেয়ের ফুটবল খেলা বাঁকা চোখেও দেখতেন কেউ কেউ। লোকো-লজ্জাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন ইয়ারজান। প্রশিক্ষণ নিয়েছে নিয়মিত। তার হাড়িভাসা স্কুল তিনবার হয়েছে জেলা চ্যাম্পিয়ন।

সাফ সাফল্যে ইয়ারজানের পরিচিতি পঞ্চগড় ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই কিশোরী ফুটবলার এখন জাতির গর্ব, দেশের সম্পদ। তার ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার দায়িত্বটা দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফেকেই নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ ফুটবলে জাদু দেখিয়েছেন পঞ্চগড়ের ইয়ারজান

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

হতদরিদ্র ঘরের মেয়ে ইয়ারজান বেগমের ছোট বেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি গভীর টান। গ্রামের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানা বাধার মধ্যেও ফুটবল খেলা চালিয়ে গেছেন। স্কুল ফুটবল থেকে উঠে এসেছেন বাফুফের বয়সভিত্তিক দলে। সেখানেও বাজিমাত। নেপালে বাংলাদেশের সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ নারী দলের শিরোপা জয়ে ফাইনালে অসামান্য অবদান রেখেছেন এই গোলরক্ষক।

নেপালে এই সেই ফাইনাল। ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে তিন-তিনটি শট ফিরিয়ে বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৬ দলের শিরোপা জয়ে মূল অবদান রাখেন ইয়ারজান বেগম। এরপরই লাইমলাইটে উঠে আসেন পঞ্চগড়ের এই কিশোরী। দেশের ফুটবলপ্রেমী ধেকে বাফুফের কর্মকর্তা, সবার প্রশংসায় ভাসতে থাকেন। শিরোপা জয়ের আনন্দে ভেসেছে ইয়ারজানের পরিবারসহ এলাকার মানুষ। প্রতিবেশীরা একে অন্যকে মিষ্টি খাইয়েছেন।

পঞ্চগড় উপজেলা সদরের হাড়িভাসা ইউরিয়নের খোপড়াবান্দি গ্রামের এই ঝুপড়ি ঘরে বাবা-মা ও ছোট বোনের সাথে থাকেন সাফ তারকা ইয়ারজান। অভাবের সংসারে দুই বেলা খাবার জুটতো না। অসুস্থ বাবা আবদুর রাজ্জাক কাজ করতে পারেন না। অন্যের জমিতে দেড় থেকে দুইশো টাকা মজুরিতে সংসার চালান মা রেনু বেগম।

প্রত্যন্ত এলাকার গরীব ঘরের মেয়ের ফুটবল খেলা বাঁকা চোখেও দেখতেন কেউ কেউ। লোকো-লজ্জাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন ইয়ারজান। প্রশিক্ষণ নিয়েছে নিয়মিত। তার হাড়িভাসা স্কুল তিনবার হয়েছে জেলা চ্যাম্পিয়ন।

সাফ সাফল্যে ইয়ারজানের পরিচিতি পঞ্চগড় ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই কিশোরী ফুটবলার এখন জাতির গর্ব, দেশের সম্পদ। তার ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার দায়িত্বটা দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফেকেই নিতে হবে।