০৩:২৬ অপরাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেট গ্যাসক্ষেত্রে যে পরিমাণ তেল মিলতে পারে

সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে দেড় কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল থাকতে পারে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এমন ধারণা দিলেও তেলের মজুত নিশ্চিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে অধিকতর জরিপ করাবে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, সিলেট গ্যাসক্ষেত্র থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগবে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূতাত্ত্বিকভাবে সিলেট অঞ্চলে জ্বালানি তেল উপস্থিতির ভালো সম্ভাবনা আছে। তাই অনুসন্ধানে জোর দিতে হবে।

গত ৮ ডিসেম্বর সিলেট গ্যাসক্ষেত্রে কূপ খননের সময় নিজস্ব চাপেই তেল উঠে আসে। গ্যাসের অনুসন্ধান করতে গিয়ে চীনা কোম্পানি সিনোপ্যাকের প্রকৌশলীরা খুঁজে পান জ্বালানি তেল। সিলেটের ১০ নম্বর কূপে ১ হাজার ৪০০ মিটার গভীরে এভাবেই পাওয়া যায় তেলের স্তর।

প্রাথমিক পরীক্ষায় কূপ থেকে উঠে আসা তেলের মানও ভালো মিলেছে। মজুতের পরিমাণ নিশ্চিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে ত্রিমাত্রিক জরিপ করাবে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে তেল কূপ খননের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরির কাজও চলছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পরীক্ষিত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আগে তেলের মজুত দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তেলের মজুত কি পরিমাণে আছে তা নিশ্চিত হতে দুই মাস লাগবে।

গ্যাসক্ষেত্রে তেলের মজুত সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেউ বলছে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল, আবার কেউ বলছে ১৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুত আছে। কিন্তু আমরা সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যায় যেতে চাই।

সিলেট সীমান্তের ওপারে আসামের বদরপুরে শতবছর আগে তেলকূপ আবিষ্কার করা হয়। এখনও ভারতের স্থানীয় উত্তোলনের ১০ ভাগের বেশি তেল আসে আসাম থেকে। তাই সিলেট অঞ্চলকে জ্বালানি তেলের জন্যও সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, ‘সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের যে ১০ নম্বর কূপে তেল পাওয়া গেল, সেটি ওই ধারণাটাকেই প্রমাণ করে যে, সিলেটের এই এলাকায় তেল আছে। তেলের ব্যাপারে যদি আলাদাভাবে জরিপ করা হয়, তাহলে আমার মনে হয় বর্তমানে আমরা যে পরিমাণে তেল পেয়েছি এবং উৎপাদনের কথা চিন্তা করছি, তার চেয়ে বেশি পরিমাণে তেল পাব।’

সিলেটের হরিপুরে ৭ নম্বর গ্যাসকূপে প্রথম তেল পাওয়া যায়। যেখান থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে সাড়ে ৫ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন হয়।

সিলেট গ্যাসক্ষেত্রে যে পরিমাণ তেল মিলতে পারে

আপডেট : ০১:৫৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে দেড় কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল থাকতে পারে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এমন ধারণা দিলেও তেলের মজুত নিশ্চিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে অধিকতর জরিপ করাবে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, সিলেট গ্যাসক্ষেত্র থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগবে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূতাত্ত্বিকভাবে সিলেট অঞ্চলে জ্বালানি তেল উপস্থিতির ভালো সম্ভাবনা আছে। তাই অনুসন্ধানে জোর দিতে হবে।

গত ৮ ডিসেম্বর সিলেট গ্যাসক্ষেত্রে কূপ খননের সময় নিজস্ব চাপেই তেল উঠে আসে। গ্যাসের অনুসন্ধান করতে গিয়ে চীনা কোম্পানি সিনোপ্যাকের প্রকৌশলীরা খুঁজে পান জ্বালানি তেল। সিলেটের ১০ নম্বর কূপে ১ হাজার ৪০০ মিটার গভীরে এভাবেই পাওয়া যায় তেলের স্তর।

প্রাথমিক পরীক্ষায় কূপ থেকে উঠে আসা তেলের মানও ভালো মিলেছে। মজুতের পরিমাণ নিশ্চিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে ত্রিমাত্রিক জরিপ করাবে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে তেল কূপ খননের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরির কাজও চলছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পরীক্ষিত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আগে তেলের মজুত দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তেলের মজুত কি পরিমাণে আছে তা নিশ্চিত হতে দুই মাস লাগবে।

গ্যাসক্ষেত্রে তেলের মজুত সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেউ বলছে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল, আবার কেউ বলছে ১৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুত আছে। কিন্তু আমরা সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যায় যেতে চাই।

সিলেট সীমান্তের ওপারে আসামের বদরপুরে শতবছর আগে তেলকূপ আবিষ্কার করা হয়। এখনও ভারতের স্থানীয় উত্তোলনের ১০ ভাগের বেশি তেল আসে আসাম থেকে। তাই সিলেট অঞ্চলকে জ্বালানি তেলের জন্যও সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, ‘সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের যে ১০ নম্বর কূপে তেল পাওয়া গেল, সেটি ওই ধারণাটাকেই প্রমাণ করে যে, সিলেটের এই এলাকায় তেল আছে। তেলের ব্যাপারে যদি আলাদাভাবে জরিপ করা হয়, তাহলে আমার মনে হয় বর্তমানে আমরা যে পরিমাণে তেল পেয়েছি এবং উৎপাদনের কথা চিন্তা করছি, তার চেয়ে বেশি পরিমাণে তেল পাব।’

সিলেটের হরিপুরে ৭ নম্বর গ্যাসকূপে প্রথম তেল পাওয়া যায়। যেখান থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে সাড়ে ৫ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন হয়।