ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জরিমানা কমিয়ে সড়ক আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিভিন্ন ধারায় আর্থিক জরিমানা কমিয়ে সড়ক পরিবহন সংশোধন আইন ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, ১২টি ধারায় আর্থিক জরিমানা কমানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইনের ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন, টার্মিনালে ফি, মিটার ছাড়া চালানো, ট্রাফিক সিগন্যাল না মানা, ওভার লোড, পরিবেশ দূষণ, পার্কিং ছাড়া গাড়ি থামানো, সাধারণ নির্দেশনা না মানাসহ ১২টি ধারায় আর্থিক জরিমানা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংশোধনীর খসড়ায় তিন চাকার মোটরযানের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রস্তাব করা হয়েছে-‘পঞ্চম শ্রেণি পাস’। যন্ত্রচালিত বা বৈদ্যুতিক ব্যাটারিচালিত যানবাহন, বাইসাইকেল, রিকশা ও রিকশাভ্যানকে মোটরযানের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বীমার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে সংশোধনীতে।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে বা প্রাণহানি ঘটলে, দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ পাঁচ বছর জেল বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সংশোধনীর খসড়া প্রস্তাবে ‘গুরুতরভাবে আহত’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জরিমানা ৫ লাখ থেকে কমিয়ে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। এভাবে আইনের প্রায় ১২ জায়গায় শাস্তি কমানোর প্রস্তাব সংশোধনীতে করা হলে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। এমনকি যন্ত্রচালিত বা বৈদ্যুতিক ব্যাটারিচালিত যানবাহন, বাইসাইকেল, রিকশা ও রিকশাভ্যানকে মোটরযানের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বীমার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে সংশোধনীতে।

সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইনে ৬৯,৭০,৭১, ৮০, ৮১, ৮৩,৮৫, ৮৬, ৮৯, ৯০, ৯২ ও ৯৮ ধারায় দন্ড কমানো হয়েছে। জামিন যোগ্য অপরাধের পরিধিও কমানো হয়েছে।

৬৯ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ধারা ২ বছর ৩ লাখ টাকা জরিমানা। আগে ৫ লাখ ছিলো। ১২ ধারায় কারো ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরও কেউ যদি গাড়ী চালায় ৩ মাসের সাজা, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। আগে জরিমানা ১৫ হাজার করা হয়েছে।

৭১ ধারায় কন্ডাকটরের পাশাপাশি সুপারভাইজার যোগ হয়েছে। ১ মাস কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা। ৮০ ধারায় কোন পরিবহনের ভাড়ার চাট না থাকলে ও অতিরিক্ত ভাড়া নিলে জরিমানা ১ মাসের কারাদণ্ড ১০ হাজার জরিমানা। দুক্ষেত্রে আলাদা ধারা করা হয়েছে। ৮১ ধারায় সিএনজির মিটার পরিবর্তন বা কারসাজি করলে ৬ মাসের জায়গায় ৩ মাসের কারাদন্ড জরিমানা ৫০ হাজারের জায়গায় করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ৮৩ ধারায় সরকার ঘোষিত রেটের চেয়ে যাত্রী বা পণ্যের ক্ষেত্রে নির্ধারিত টাকার বাইরে বেশি নিলে চাদাবাজি হিসেবে গণ্য হবে।

৮৪ ধারায় মোটরযানে কারিগরী নির্দেশনা ভঙ্গ করলে অজামিনযোগ্য ধারা ছিলো জামিনযোগ্য। ৮৫ ট্রাফিক আইন না মানলে আগে ছিলো ১০ হাজার এখন ২ হাজার টাকা জরিমানা। ৮৬ ধারয় অতিরিক্ত ওজন পরিবহন করলে ৩ বছরের জায়গায় ১ বছর সাজা ও জরিমানা ৩লাখের স্থলে করা হয়েছে ১ লাখ জরিমানা। ৮৯ ধারায় দূষণ করলে ১ মাসের কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা। ৯০ ধারায় পার্কিং এলাকা ছাড়া যাত্রী ওঠানামা করলে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

৯২ ধারায় মোটরযান চলাচলে সাধারণ নির্দেশনা না মানলে ১ মাসের কারাদণ্ড। ৯৮ ধারায় মোটরযান মালিককে বীমা করতে হবে। না করলে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

জামিনযোগ্য করা হয়েছে যেসব ধারা: ৮৪ ধারায় যানবাহনের কারিগরী নির্দেশনা ভঙ্গে হলে ৩ বছর অজামিনযোগ্য ছিলো এখন তা জামিনযোগ্য হবর। ৯৮ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কেউ ওভারলোড করে দুর্ঘটনা ঘটলে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। ১০৫ কোন ভাবে আহত ও গুরুতর আহত হলে তা জামিনযোগ্য হবে। তবে দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে অজামিনযোগ্য হবে। আর সব ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে।

ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দরিদ্রদের সহায়তা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রমজানে কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়গুলো সে বিষয়গুলো জানিয়েছে। কৃষিভিত্তিক সমবায় গড়ে তোলা ও ৮ বিভাগে কৃষি সংরক্ষণাগার করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

জরিমানা কমিয়ে সড়ক আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

বিভিন্ন ধারায় আর্থিক জরিমানা কমিয়ে সড়ক পরিবহন সংশোধন আইন ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, ১২টি ধারায় আর্থিক জরিমানা কমানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইনের ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন, টার্মিনালে ফি, মিটার ছাড়া চালানো, ট্রাফিক সিগন্যাল না মানা, ওভার লোড, পরিবেশ দূষণ, পার্কিং ছাড়া গাড়ি থামানো, সাধারণ নির্দেশনা না মানাসহ ১২টি ধারায় আর্থিক জরিমানা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংশোধনীর খসড়ায় তিন চাকার মোটরযানের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রস্তাব করা হয়েছে-‘পঞ্চম শ্রেণি পাস’। যন্ত্রচালিত বা বৈদ্যুতিক ব্যাটারিচালিত যানবাহন, বাইসাইকেল, রিকশা ও রিকশাভ্যানকে মোটরযানের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বীমার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে সংশোধনীতে।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে বা প্রাণহানি ঘটলে, দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ পাঁচ বছর জেল বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সংশোধনীর খসড়া প্রস্তাবে ‘গুরুতরভাবে আহত’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জরিমানা ৫ লাখ থেকে কমিয়ে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। এভাবে আইনের প্রায় ১২ জায়গায় শাস্তি কমানোর প্রস্তাব সংশোধনীতে করা হলে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। এমনকি যন্ত্রচালিত বা বৈদ্যুতিক ব্যাটারিচালিত যানবাহন, বাইসাইকেল, রিকশা ও রিকশাভ্যানকে মোটরযানের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বীমার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে সংশোধনীতে।

সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইনে ৬৯,৭০,৭১, ৮০, ৮১, ৮৩,৮৫, ৮৬, ৮৯, ৯০, ৯২ ও ৯৮ ধারায় দন্ড কমানো হয়েছে। জামিন যোগ্য অপরাধের পরিধিও কমানো হয়েছে।

৬৯ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ধারা ২ বছর ৩ লাখ টাকা জরিমানা। আগে ৫ লাখ ছিলো। ১২ ধারায় কারো ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরও কেউ যদি গাড়ী চালায় ৩ মাসের সাজা, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। আগে জরিমানা ১৫ হাজার করা হয়েছে।

৭১ ধারায় কন্ডাকটরের পাশাপাশি সুপারভাইজার যোগ হয়েছে। ১ মাস কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা। ৮০ ধারায় কোন পরিবহনের ভাড়ার চাট না থাকলে ও অতিরিক্ত ভাড়া নিলে জরিমানা ১ মাসের কারাদণ্ড ১০ হাজার জরিমানা। দুক্ষেত্রে আলাদা ধারা করা হয়েছে। ৮১ ধারায় সিএনজির মিটার পরিবর্তন বা কারসাজি করলে ৬ মাসের জায়গায় ৩ মাসের কারাদন্ড জরিমানা ৫০ হাজারের জায়গায় করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ৮৩ ধারায় সরকার ঘোষিত রেটের চেয়ে যাত্রী বা পণ্যের ক্ষেত্রে নির্ধারিত টাকার বাইরে বেশি নিলে চাদাবাজি হিসেবে গণ্য হবে।

৮৪ ধারায় মোটরযানে কারিগরী নির্দেশনা ভঙ্গ করলে অজামিনযোগ্য ধারা ছিলো জামিনযোগ্য। ৮৫ ট্রাফিক আইন না মানলে আগে ছিলো ১০ হাজার এখন ২ হাজার টাকা জরিমানা। ৮৬ ধারয় অতিরিক্ত ওজন পরিবহন করলে ৩ বছরের জায়গায় ১ বছর সাজা ও জরিমানা ৩লাখের স্থলে করা হয়েছে ১ লাখ জরিমানা। ৮৯ ধারায় দূষণ করলে ১ মাসের কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা। ৯০ ধারায় পার্কিং এলাকা ছাড়া যাত্রী ওঠানামা করলে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

৯২ ধারায় মোটরযান চলাচলে সাধারণ নির্দেশনা না মানলে ১ মাসের কারাদণ্ড। ৯৮ ধারায় মোটরযান মালিককে বীমা করতে হবে। না করলে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

জামিনযোগ্য করা হয়েছে যেসব ধারা: ৮৪ ধারায় যানবাহনের কারিগরী নির্দেশনা ভঙ্গে হলে ৩ বছর অজামিনযোগ্য ছিলো এখন তা জামিনযোগ্য হবর। ৯৮ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কেউ ওভারলোড করে দুর্ঘটনা ঘটলে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। ১০৫ কোন ভাবে আহত ও গুরুতর আহত হলে তা জামিনযোগ্য হবে। তবে দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে অজামিনযোগ্য হবে। আর সব ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে।

ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দরিদ্রদের সহায়তা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রমজানে কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়গুলো সে বিষয়গুলো জানিয়েছে। কৃষিভিত্তিক সমবায় গড়ে তোলা ও ৮ বিভাগে কৃষি সংরক্ষণাগার করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।