শেষ আটে উঠে বার্সেলোনা কোচের হুঁশিয়ারি
- আপডেট সময় : ০২:২৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
- / ৪০৩ বার পড়া হয়েছে
বার্সেলোনার সমীকরণ খুব সহজ ছিল। নাপোলির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ন্যূনতম ব্যবধানে জিতলেই হতো তাদের। তবু চ্যাম্পিয়নস লিগের গত কয়েক মৌসুমের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় শঙ্কা ছিল বার্সাকে নিয়ে।
তবুও মাঠের খেলায় সব শঙ্কা উড়িয়ে মারাদনা-ডার্বিতে নাপোলিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। দুই লেগ মিলে ৪-২ ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল বার্সা।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্তাদিও অলিম্পিক লুইস স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ১৫ মিনিটে বার্সাকে লিড এনে দেন ফারমিন লোপেজ। দুই মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জোয়াও ক্যানসেলো।
প্রথমার্ধেই এক গোল পরিশোধ করে নাপোলি। ৩০ মিনিটে আমির রাহমানির গোল দলটির আশা জাগালেও ম্যাচের শেষদিকে সফরকারীদের জালে আরেকটি গোল দিয়ে সে আশা নিভিয়ে দেন রবের্ত লেভানদফস্কি।
এ জয়ে চার বছরে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে উঠল বার্সা। এর আগে ২০১৯-২০২০ মৌসুমে শেষবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি। পরের মৌসুমে (২০২০-২০২১) বার্সার যাত্রা থামে শেষ ষোলোতেই। এরপর টানা দুই মৌসুম গ্রুপ পর্বের গণ্ডিই পেরোতে পারেনি শাভির দল।
টানা ব্যর্থতায় বার্সাকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। নাপোলির বিপক্ষে জয়ের পর মুখ খুলেছেন বার্সা বস শাভি এরনান্দেস। তিনি জানিয়েছেন, বার্সা এখন চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
ম্যাচ শেষে শাভি বলেছেন, ‘ভক্ত-সমর্থকেরা আমার ওপর বিশ্বাস রাখেননি। ড্রেসিংরুমেই নাকি আস্থা হারিয়েছি। অনেক অন্যায্য সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের ওপর অনেক চাপ দেওয়া হয়েছে। আমি এমনও পড়েছি যে, আমরা নাকি চ্যাম্পিয়নস লিগে হাসাহাসির বস্তু। এখন দেখুন কী অবস্থা? আমাদের দল ইউরোপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত।’
নাপোলি ম্যাচের পর শাভি জানান, বার্সার ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, ‘আমরা একটা দুর্দান্ত ম্যাচ খেলেছি। অধিকাংশ সময় আমরা আধিপত্য বিস্তার করেছি এবং এজন্য আমি গর্বিত। আমি সবাইকে সতর্ক করেছিলাম যে এই দলটির জেগে ওঠা উচিত। যেখানে আমি আগেই ঘোষণা দিয়েছি চলে যাওয়ার। এই মুহূর্তটা তাই আমাদের জন্য উপভোগ করার।’
এর আগে প্রথম লেগে দিয়েগো আরমান্ডো মারাদোনা স্টেডিয়ামে নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বার্সা। তাই ঘরের মাঠের ম্যাচটি নিয়ে কিছুটা শঙ্কা ভর করেছিল। তবে গতকাল ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সে শঙ্কা দুরে পাঠান শাভির শিষ্যরা। ১৭ মিনিটের মধ্যে দুই গোল দেন ফারমিন লোপেজ ও কানসেলো।
দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেলে বার্সা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩০ মিনিটে আমির রাহমানির গোলে ব্যবধান কমায় নাপোলি। ২-১ ব্যবধানেই প্রথমার্ধ শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধেও বার্সার রক্ষণে আক্রমণের ঢেউ তোলে নাপোলি। কিন্তু দুর্বল ফিনিশিংয়ে সেসব আলোর মুখে দেখেনি। বিশেষ করে বার্সার হাই-লাইন ডিফেন্সে বারবার অফসাইডের ফাঁদে পড়ছিলেন নাপোলি স্ট্রাইকাররা। উল্টো সুযোগ পেয়ে ঠিকই কাজে লাগায় বার্সা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে নাপোলির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন লেভানদফস্কি।
এদিকে কাল অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠে পোর্তোর বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ১-০ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ হয় আর্সেনালের। দুই লেগ মিলিয়ে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও কোনো পার্থক্য না হওয়ায় টাইব্রেকারে যেতে হয়। টাইব্রেকারে দাভিদ রায়ার বীরত্বে ৪-২ ব্যবধানে জেতে আর্সেনাল। ২০১০ সালের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল গানাররা।