০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমন্বয়ের নামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ভোক্তাদের নাভিশ্বাস

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভোক্তাদের মাসিক খরচ গড়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে; নিম্ম থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের খরচ বাড়বে ১০৬ থেকে ১১৮ টাকা- সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কার্যালয়ে বিদ্যুতের ভর্তুকি তুলে নিতে বিকল্প করণীয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিদ্যুতের দাম নিয়ে রাজধানীতে ব্রিফিং করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি। বিদ্যুতের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি; ভর্তুকি সমন্বয়ের অন্য বিকল্প আছে কী? এই শিরোনামে করা এক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সিপিডির গবেষকরা।

বিদ্যুতের বর্ধিত ক্যাপাসিটি না কমিয়ে এ খাতের ভর্তুকির চাপ সম্পূর্ণ ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দেয়া অযৌক্তিক- বলেন সিপিডির গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সমন্বয়ের নামে দাম বৃদ্ধি ভোক্তাদের নাভিশ্বাস বাড়াবে বলেও মত গবেষণা সংস্থাটির।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বেশি ব্যবহারে দাম বৃদ্ধির হার বেশি একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। তবে বিদ্যুতের দামের সঙ্গে কৃষিখাতের সেচ ও শিল্প উৎপাদনে বড় অংকের খরচ বাড়বে।

গোলাম মোয়াজ্জেমের ভাষ্য, দেশে চাহিদার তুলনায় বেশি হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করায় বড় অংকের ক্যাপাসিটি চার্জ ভর্তুকির মূল কারণ। তাই এটাকে গুরুত্ব দিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে বের হতে হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ কেনায় উন্মুক্ত দরপত্র না থাকায় বেশি খরচ হচ্ছে সরকারের।

সিপিডির মতে, পরিকল্পিত উপায়ে আগামী ৫ বছরের মধ্য ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে দাম বাড়লেই ভর্তুকি এড়ানো যাবে। তবে আইএমএফ বলছে ১২ শতাংশ হারে দাম বাড়াতে হবে। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের খরচের বোঝা কমানো সম্ভব বলছে সিপিডি।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

সমন্বয়ের নামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ভোক্তাদের নাভিশ্বাস

আপডেট : ০৩:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভোক্তাদের মাসিক খরচ গড়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে; নিম্ম থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের খরচ বাড়বে ১০৬ থেকে ১১৮ টাকা- সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কার্যালয়ে বিদ্যুতের ভর্তুকি তুলে নিতে বিকল্প করণীয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিদ্যুতের দাম নিয়ে রাজধানীতে ব্রিফিং করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি। বিদ্যুতের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি; ভর্তুকি সমন্বয়ের অন্য বিকল্প আছে কী? এই শিরোনামে করা এক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সিপিডির গবেষকরা।

বিদ্যুতের বর্ধিত ক্যাপাসিটি না কমিয়ে এ খাতের ভর্তুকির চাপ সম্পূর্ণ ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দেয়া অযৌক্তিক- বলেন সিপিডির গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সমন্বয়ের নামে দাম বৃদ্ধি ভোক্তাদের নাভিশ্বাস বাড়াবে বলেও মত গবেষণা সংস্থাটির।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বেশি ব্যবহারে দাম বৃদ্ধির হার বেশি একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। তবে বিদ্যুতের দামের সঙ্গে কৃষিখাতের সেচ ও শিল্প উৎপাদনে বড় অংকের খরচ বাড়বে।

গোলাম মোয়াজ্জেমের ভাষ্য, দেশে চাহিদার তুলনায় বেশি হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করায় বড় অংকের ক্যাপাসিটি চার্জ ভর্তুকির মূল কারণ। তাই এটাকে গুরুত্ব দিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে বের হতে হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ কেনায় উন্মুক্ত দরপত্র না থাকায় বেশি খরচ হচ্ছে সরকারের।

সিপিডির মতে, পরিকল্পিত উপায়ে আগামী ৫ বছরের মধ্য ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে দাম বাড়লেই ভর্তুকি এড়ানো যাবে। তবে আইএমএফ বলছে ১২ শতাংশ হারে দাম বাড়াতে হবে। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের খরচের বোঝা কমানো সম্ভব বলছে সিপিডি।