একীভূত হতে যাচ্ছে এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক
- আপডেট সময় : ০৮:২৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
- / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
শরীয়াহভিত্তিক বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্সিম ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে দুই ব্যাংকের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হবে বলেও জানিয়েছে সূত্র।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান একেএম নুরুল ফজল বুলবুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুই ব্যাংকের মধ্যে একীভূতকরণের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে ব্যাংক দুটির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে দেশের ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টির অবস্থা খুবই খারাপ।
এছাড়া ৯টি ব্যাংক এরই মধ্যে রেড জোনে চলে গেছে। অপর ৩টির অবস্থান ইয়েলো জোনে অর্থাৎ রেড জোনের খুব কাছাকাছি রয়েছে।
চলতি বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবলের সঙ্গে দূর্বল ব্যাংক মার্জের বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছে। সেখানে ব্যাংকগুলোকে নিজেদেরকে একীভূত হওয়ার সুযোগ রাখা হয়। এরই প্রেক্ষিতে প্রথম দুটি তফসিলি ব্যাংক মার্জার হতে যাচ্ছে।
গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো ব্যাংক চাইলে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে ডিসেম্বরের মধ্যেই একীভূত হওয়ার উদ্যোগ নিতে পারে। ডিসেম্বরের পর ব্যাকের অবস্থা বুঝে বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘আমানতকারী ও তাদের আমানতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। এতে আমানতের শতভাগ নিশ্চিত থাকবে। কোনো আমানত হারাবে না।’
ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে আমানত যাই থাকুক শুধু এক লাখ টাকা ফেরত পাওয়া যাবে এমন তথ্য সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এই প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মী চাকরি হারাবে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় একীভূতকরণ হয়েছে সেই প্রক্রিয়াই এখানে অনুসরণ করা হবে। এতে কোনো ব্যাংক অবসায়নে যাবে না। শুধু দুটি ব্যাংক একসাথে যোগ হয়ে একটি ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।