ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফাঁসির ৪৪ বছর পর ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস হলো পাকিস্তানের পার্লামেন্টে। গতকাল বুধবার এ প্রস্তাবটি পাস হয়।

১৯৭৭ সালের এপ্রিলে জেনারেল জিয়া-উল-হককে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে মনোনীত করেন ভুট্টো। এই পদে নিয়োগ পাওয়ার মাত্র চার মাসের মাথায় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় ক্ষমতা দখল করেন জিয়া-উল-হক এবং ভুট্টোকে গ্রেপ্তার করেন। পাকিস্তান পিপল্‌স পার্টির (পিপিপি) প্রতিষ্ঠাতা ভুট্টোকে ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল একটি হত্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।

পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি আনেন পিপিপি সদস্য শাজিয়া মারি। তিনি প্রস্তাবে ভুট্টোর বিচার ও তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টিকে ‘বিচার ব্যবস্থার বড় ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

২০১১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ভুট্টোর ‘যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠু বিচার মেনে চলা হয়েছিল’ কি না সে সম্পর্কে আদালতের ‘মতামত’ জানতে চেয়েছিলেন। সেই মতামতে গত ৬ মার্চ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানান, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ন্যায়বিচার পাননি। জারদারি হলেন, জুলফিকার আলি ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টোর স্বামী। পাকিস্তানের দুবারের প্রধানমন্ত্রী বেনজিরকে ২০০৭ সালে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে হত্যা করা হয়। ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়াল বর্তমানে পাক শাসকজোটের অন্যতম নেতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফাঁসির ৪৪ বছর পর ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস

আপডেট সময় : ০১:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস হলো পাকিস্তানের পার্লামেন্টে। গতকাল বুধবার এ প্রস্তাবটি পাস হয়।

১৯৭৭ সালের এপ্রিলে জেনারেল জিয়া-উল-হককে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে মনোনীত করেন ভুট্টো। এই পদে নিয়োগ পাওয়ার মাত্র চার মাসের মাথায় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় ক্ষমতা দখল করেন জিয়া-উল-হক এবং ভুট্টোকে গ্রেপ্তার করেন। পাকিস্তান পিপল্‌স পার্টির (পিপিপি) প্রতিষ্ঠাতা ভুট্টোকে ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল একটি হত্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।

পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি আনেন পিপিপি সদস্য শাজিয়া মারি। তিনি প্রস্তাবে ভুট্টোর বিচার ও তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টিকে ‘বিচার ব্যবস্থার বড় ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

২০১১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ভুট্টোর ‘যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠু বিচার মেনে চলা হয়েছিল’ কি না সে সম্পর্কে আদালতের ‘মতামত’ জানতে চেয়েছিলেন। সেই মতামতে গত ৬ মার্চ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানান, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ন্যায়বিচার পাননি। জারদারি হলেন, জুলফিকার আলি ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টোর স্বামী। পাকিস্তানের দুবারের প্রধানমন্ত্রী বেনজিরকে ২০০৭ সালে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে হত্যা করা হয়। ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়াল বর্তমানে পাক শাসকজোটের অন্যতম নেতা।