দীর্ঘদিন ধরে ভারত মহাসাগরে জাহাজে হানা দেবার জন্য বেশ কুখ্যাত সোমালিয়ার জলদস্যুরা। খুবই ভয়ংকর এই জলদস্যুদের কাছে থাকে অত্যাধুনিক অস্ত্র। সাধারণত জাহাজের নাবিকদের জিম্মি ক’রে তারা মুক্তিপণ আদায় করেন। মুক্তিপণ না পেলে হত্যাও করেন নাবিকদের।
সাগরে ডাকাতির এমন আসল ঘটনার আধারে নির্মিত হয়েছে কয়েকটি সিনেমা। চলুন জেনে নেয়া যাক এসব সিনেমা সম্পর্কে :
‘ক্যাপ্টেন ফিলিপস’
ড্যানিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কার্গো জাহাজ মারস্ক অ্যালবাবা ২০০৯ সালে ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটির ক্যাপ্টন ছিলেন রিচার্ড ফিলিপস। জিম্মিদশায় দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন ফিলিপস। সেই ঘটনার আধারেই নির্মিত হয় সিনেমাটি। এটি মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। সিনেমায় ফিলিপস চরিত্রে দেখা গেছে হলিউড তারকা টম হ্যাঙ্ক কে।
‘ফিশিং উইদাউট নেটস’
একটু ব্যতিক্রমধর্মী এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে জলদস্যুদের জীবনকে সোমালিয়ার জেলেরা কীভাবে জলদস্যুতা করতে বাধ্য হয়, সেই গল্প নির্মাণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা কাটলার হডিয়ন। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গ্র্যান্ড জুরি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিল।
‘দ্যা প্রজেক্ট’
এই প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক অ্যাডাম চারলস্কি। শিপিং বিশ্বকে কতটা হুমকির দিকে ঠেলছে সোমালিয়ার জলদস্যুতা এবং এটিকে মোকাবিলা করতে কী করা যায়, এসব নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। বিশ্বের বিভিন্ন চলচিচত্র উৎসব ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই প্রামাণ্যচিত্রটিকে প্রদর্শন করেছে।
‘আ হাইজ্যাকিং’
২০০৮ সালে আলোড়ন তৈরি করে ড্যানিশ জাহাজ এমভি সিইসি ফিউচার ছিনতাইয়ে ঘটনা। এই সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটিই হলো ‘আ হাইজ্যাকিং’। একটি ড্যানিশ সিনেমা এটি। ছবিটির নির্মাতা থিমায়া পেইন এবং পরিচালক টোবায়াস লিন্ডহোম। সিনেমাটি নির্মিত হয় ডেনমার্কের একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া এ ছবিতে কার্গো জাহাজের মালিক ও জলদস্যুদের আলোচনাকে নাটকীয়ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে জিম্মি থাকা নাবিকদের দুর্দশাও ফুটে ওঠে ক্যামেরায়।