Dhaka ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে যা এড়িয়ে চলা ভালো

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:৫০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
  • ১০১ দেখেছেন

সারা বছরই যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন, পবিত্র রজমান এলে কীভাবে সেটি মেনে চলবেন সেই ভাবনায় তাদের চিন্তার ভাজ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রমজান মাসে তারা বিভ্রান্তিতে পড়ে যান, কী খাবেন আর কী খাবেন না, কিভাবে করবেন ঠিকঠাক ডায়েট। কারণ এ সময়টাতে খাবারের তালিকা থেকে শুরু করে খাবার গ্রহণের সময় সবকিছু বদলে যায়। স্বাস্থ্য সচেতনরা রোজায় কীভাবে ডায়েট মেনে চলবেন, জেনে নেওয়া যাক।

প্রায় ১৫ ঘণ্টা রোজা রাখার পর ধর্মীয় নিয়মে খেজুর খেয়েই ইফতার শুরু করা ভালো। ইফতারে ফলের জুস এবং শরবত রাখুন। ইসবগুল ও তোকমার শরবত, লেবুর শরবত, মৌসুমী ফলের জুস রাখতে পারেন। শরবত বা জুসে চিনি দিবেন না। মনে রাখবেন ডায়েটের বড় শত্রু হচ্ছে চিনি। অনেকেই ভাবেন, চিনি না খেয়ে গুড় খেলে উপকার হবে, এটাও মারাত্মক ভুল।

ওজন কমাতে চাইলে ইফতারে অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না। মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

চাইলে অল্প তেলে ভাজা আধা কাপ ছোলা বেশি সালাদ দিয়ে খেতে পারেন। আর ভরাপেটে খাবার না খেয়ে বরং পানি, জুস ও ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

সেহেরির আগে অন্য কিছু না খেয়ে রাত ১০টার দিকে যেকোনো মৌসুমি ফল বা এক গ্লাস লো ফ্যাটযুক্ত দুধ খেতে পারেন। রাতে হালকা ব্যায়াম করুন। শরীরের উপর জোর দিয়ে কোন ব্যায়াম করবেন না। এতে রোজায় অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

সেহেরিতে যারা ভাত খেতে চান, তারা দেড় কাপ ভাত খাবেন। সঙ্গে রাখুন সালাদ। দুটি লাল আটার রুটি বা ওটসের রুটি সঙ্গে সবজি আর খুব অল্প তেলে গ্রিল করা মুরগীর মাংস বা মাছ খেতে পারেন।

রাতে দুধ পানের অভ্যাস না থাকলেও সেহেরির সময় এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন কিংবা টক দইও খেতে পারেন। আর সেহেরি শেষেই ঘুমিয়ে পড়বেন না, মিনিট পনেরো হাঁটুন। নামায পড়ে তারপর ঘুমাতে যান। দেখবেন এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব করছেন।

রমজানে যা এড়িয়ে চলা ভালো

আপডেট : ০১:৫০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

সারা বছরই যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন, পবিত্র রজমান এলে কীভাবে সেটি মেনে চলবেন সেই ভাবনায় তাদের চিন্তার ভাজ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রমজান মাসে তারা বিভ্রান্তিতে পড়ে যান, কী খাবেন আর কী খাবেন না, কিভাবে করবেন ঠিকঠাক ডায়েট। কারণ এ সময়টাতে খাবারের তালিকা থেকে শুরু করে খাবার গ্রহণের সময় সবকিছু বদলে যায়। স্বাস্থ্য সচেতনরা রোজায় কীভাবে ডায়েট মেনে চলবেন, জেনে নেওয়া যাক।

প্রায় ১৫ ঘণ্টা রোজা রাখার পর ধর্মীয় নিয়মে খেজুর খেয়েই ইফতার শুরু করা ভালো। ইফতারে ফলের জুস এবং শরবত রাখুন। ইসবগুল ও তোকমার শরবত, লেবুর শরবত, মৌসুমী ফলের জুস রাখতে পারেন। শরবত বা জুসে চিনি দিবেন না। মনে রাখবেন ডায়েটের বড় শত্রু হচ্ছে চিনি। অনেকেই ভাবেন, চিনি না খেয়ে গুড় খেলে উপকার হবে, এটাও মারাত্মক ভুল।

ওজন কমাতে চাইলে ইফতারে অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না। মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

চাইলে অল্প তেলে ভাজা আধা কাপ ছোলা বেশি সালাদ দিয়ে খেতে পারেন। আর ভরাপেটে খাবার না খেয়ে বরং পানি, জুস ও ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

সেহেরির আগে অন্য কিছু না খেয়ে রাত ১০টার দিকে যেকোনো মৌসুমি ফল বা এক গ্লাস লো ফ্যাটযুক্ত দুধ খেতে পারেন। রাতে হালকা ব্যায়াম করুন। শরীরের উপর জোর দিয়ে কোন ব্যায়াম করবেন না। এতে রোজায় অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

সেহেরিতে যারা ভাত খেতে চান, তারা দেড় কাপ ভাত খাবেন। সঙ্গে রাখুন সালাদ। দুটি লাল আটার রুটি বা ওটসের রুটি সঙ্গে সবজি আর খুব অল্প তেলে গ্রিল করা মুরগীর মাংস বা মাছ খেতে পারেন।

রাতে দুধ পানের অভ্যাস না থাকলেও সেহেরির সময় এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন কিংবা টক দইও খেতে পারেন। আর সেহেরি শেষেই ঘুমিয়ে পড়বেন না, মিনিট পনেরো হাঁটুন। নামায পড়ে তারপর ঘুমাতে যান। দেখবেন এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব করছেন।