০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশি জাহাজ উদ্ধারে যুদ্ধজাহাজ-বিমান পাঠিয়েছিল ভারত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১০:১০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
  • ৭৭ দেখেছেন

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ জিম্মি হওয়ার খবর পেয়ে উদ্ধারের জন্য লং-রেঞ্জ মেরিটাইম পেট্রোল (এলআরএমপি) বিমান মোতায়েন করে ভারতীয় নৌবাহিনী। গত ১৪ মার্চ এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি যায় এই ভারতীয় জাহাজ ও আরেকটি যুদ্ধজাহাজ। তবে পরে সরে আসতে হয়।

দস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন এমভি আব্দুল্লাহর ক্যাপ্টেন। ভারতীয় নৌবাহিনী শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাহায্যের আবেদন পেয়ে জাহাজটির কাছে প্রথমে তাদের একটি নজরদারি বিমান গিয়েছিল। কিন্তু ওইদিন (১২ মার্চ) বিমানটি নাবিকদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। মূলত এমভি আব্দুল্লাহ থেকে কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি তাদের।

এরপর ১৪ মার্চ তাদের যুদ্ধজাহাজ ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে অবরুদ্ধ করে। ওই সময় নাবিকদের অবস্থান ও পরিস্থিতি নিরূপণ করে যুদ্ধজাহাজটি। কিন্তু দস্যুদের কিছু করতে পারেনি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজটি। ফলে ছিনতাই হওয়া জাহাজটির পিছু নেয় ভারতীয় নৌ সেনারা। সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত বাংলাদেশি জাহাজটির কাছাকাছি অবস্থান করে ভারতের যুদ্ধজাহাজটি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।

সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদের উদ্ধারে দুটি যুদ্ধজাহাজ প্রাথমিক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। জাহাজ দুটি এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করলে জিম্মি নাবিকদের দিকে অস্ত্র তাক করে জলদস্যুরা। ফলে সরে আসতে হয় তাদের।

তবে গারকাড উপকূলে নোঙর করা এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা এখন সুস্থ আছেন। চট্টগ্রামে পরিবারের কাছে এক নাবিকের পাঠানো অডিও বার্তা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সোমালিয়ার গারকাড উপকূল থেকে প্রায় ৭ নটিক্যাল মাইল দূর সমুদ্রে নোঙর করানো হয় এমভি আবদুল্লাহকে। এসময় জলদস্যুরা জাহাজটিকে দ্বিতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে ইউরোপীয় ও ভারতীয় দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করলে জলদস্যুরা নাবিকদের মাথায় অস্ত্র তাক করে। এসময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়ে তারা। তাই জিম্মিদের ক্ষতির আশঙ্কায় পিছু হটে যুদ্ধজাহাজ দুটি।

পরে এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ভারতীয় নৌবাহিনী সাড়া পায়নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি টুইটও করেছে তারা।

এদিকে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলের দিকে জাহাজটির নোঙর তোলা হয়।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সোমালিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে জিম্মি জাহাজটিকে আগের অবস্থান থেকে সরিয়ে ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে নোঙর করা হয়েছে।

বাংলাদেশি জাহাজ উদ্ধারে যুদ্ধজাহাজ-বিমান পাঠিয়েছিল ভারত

আপডেট : ১০:১০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ জিম্মি হওয়ার খবর পেয়ে উদ্ধারের জন্য লং-রেঞ্জ মেরিটাইম পেট্রোল (এলআরএমপি) বিমান মোতায়েন করে ভারতীয় নৌবাহিনী। গত ১৪ মার্চ এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি যায় এই ভারতীয় জাহাজ ও আরেকটি যুদ্ধজাহাজ। তবে পরে সরে আসতে হয়।

দস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন এমভি আব্দুল্লাহর ক্যাপ্টেন। ভারতীয় নৌবাহিনী শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাহায্যের আবেদন পেয়ে জাহাজটির কাছে প্রথমে তাদের একটি নজরদারি বিমান গিয়েছিল। কিন্তু ওইদিন (১২ মার্চ) বিমানটি নাবিকদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। মূলত এমভি আব্দুল্লাহ থেকে কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি তাদের।

এরপর ১৪ মার্চ তাদের যুদ্ধজাহাজ ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে অবরুদ্ধ করে। ওই সময় নাবিকদের অবস্থান ও পরিস্থিতি নিরূপণ করে যুদ্ধজাহাজটি। কিন্তু দস্যুদের কিছু করতে পারেনি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজটি। ফলে ছিনতাই হওয়া জাহাজটির পিছু নেয় ভারতীয় নৌ সেনারা। সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত বাংলাদেশি জাহাজটির কাছাকাছি অবস্থান করে ভারতের যুদ্ধজাহাজটি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।

সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদের উদ্ধারে দুটি যুদ্ধজাহাজ প্রাথমিক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। জাহাজ দুটি এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করলে জিম্মি নাবিকদের দিকে অস্ত্র তাক করে জলদস্যুরা। ফলে সরে আসতে হয় তাদের।

তবে গারকাড উপকূলে নোঙর করা এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা এখন সুস্থ আছেন। চট্টগ্রামে পরিবারের কাছে এক নাবিকের পাঠানো অডিও বার্তা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সোমালিয়ার গারকাড উপকূল থেকে প্রায় ৭ নটিক্যাল মাইল দূর সমুদ্রে নোঙর করানো হয় এমভি আবদুল্লাহকে। এসময় জলদস্যুরা জাহাজটিকে দ্বিতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে ইউরোপীয় ও ভারতীয় দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করলে জলদস্যুরা নাবিকদের মাথায় অস্ত্র তাক করে। এসময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়ে তারা। তাই জিম্মিদের ক্ষতির আশঙ্কায় পিছু হটে যুদ্ধজাহাজ দুটি।

পরে এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ভারতীয় নৌবাহিনী সাড়া পায়নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি টুইটও করেছে তারা।

এদিকে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলের দিকে জাহাজটির নোঙর তোলা হয়।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সোমালিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে জিম্মি জাহাজটিকে আগের অবস্থান থেকে সরিয়ে ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে নোঙর করা হয়েছে।