বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার একশানে আছে: ওবায়দুল কাদের
- আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
- / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার একশানে আছে। শিগগিরই এর ফল পাওয়া যাবে। তিনি শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সিন্ডিকেট ভাঙবে। এর সাথে কারা কারা জড়িত সেটি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।”
এসময় ওবায়দুল কাদের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকারবিরোধী মনোভাব থেকে বাজারে এরকম সিন্ডিকেট হচ্ছে কি না সেটি সরকার ক্ষতিয়ে দেখছে। তিনি বলেন, সরকার সিন্ডিকেট দমনে ব্যর্থও নয় তাদের কাছে জিম্মি ও নয়।
টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি সরকার। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি নাকি ব্যর্থ? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যর্থও না, জিম্মিও না। দেশটা অনেকের চেয়ে ভালো চলছে। সারা বিশ্বের যে অবস্থা, আজকে শুধু ডলারের দাম না…. সারা বিশ্বের যে টালমাটাল অবস্থা, আমি বার বার আপনাদের বলতে চেয়েছি সারা বিশ্বেই সমস্যা চলছে। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যেখানে আমরা আপনাদের খুব সুখে শান্তিতে রাখতে পারব। অন্যেরা ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই। সবাই একযোগে ভালো থাকার চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবেও চলছে।
বিএনপির আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবী প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। সরকারের পরিবর্তন চাইলে আরেকটা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিএনপিকে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই।
তিনি মন্তব্য করেন, “বিএনপি নেতারা আরাম আয়েশে সময় কাটাচ্ছেন। কর্মীদের আশা দিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন। তারা হতাশ। নেতাদের ডাকে কর্মীরা আন্দোলন করবে সে অবস্থা নেই।”
তিনি বলেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই, জনগণের আন্দোলনে নেই, জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। তার সততা, নেতৃত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। ৭৫ এর পর দেশে সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ একজন নেতাও জন্ম হয়নি। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন।
পরিবহনের চাঁদাবাজির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনের চাঁদাবাজি সারা জনম ধরে চলে আসছে। এটা নতুন নয়। তবে এ চাঁদাবাজিটা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চলছে। আইন প্রয়োগকারী লোকজনও তৎপর। প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে এ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। একেবারে বন্ধ করা যাবে এ কথা আমি বলব না। এই কালচারটা হাঠাৎ করে বন্ধ করা যাবে না। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিব্রতকর কোনো বক্তব্য যে-ই দেবেন দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলা সমীচীন। সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন বক্তব্য থেকে আমাদের সব দায়িত্বশীলদের বিরত থাকা উচিত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।