সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ঢাকাতে সরকার কারসাজির সাথে বিএনপিকে জড়িয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টির পায়তারা করছে। শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের সাথে সরকারি দলের লোকদের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলছে। সেজন্য উন্নত চিকিৎসা করাতে খালেদা জিয়া বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না বলেও দাবি করেন রিজভী।
তিনি বলেন, আবারও তারা (সরকার) টার্গেট করেছে জিয়া পরিবারকে। নিজ দলের লুটপাট, সম্পদ পাচার, দখল, রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আওয়ামী নেতাদের গল্প যে ‘আলিফ লায়লা’র গল্পকেও হার মানাচ্ছে সেটি শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে এড়িয়ে যান।
রিজভী বলেন, এই রমজানে ক্ষুধার্ত ক্ষুব্ধ মানুষের হাহাকারের ‘এসওএস বার্তা’ শেখ হাসিনা কি শুনতে পান? জনগণের কল্যাণ সাধন এদের লক্ষ্য নয়। এরা ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর তারা দেশ ও দেশের জনগণকে মহাসংকটে ফেলে একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। সেটি হলো—বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা।
আওয়ামী লীগ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি, বরং ইতিহাসের বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটি নিশ্চয়ই সংবাদপত্রগুলোর মনে থাকার কথা। সুতরাং এখন যারা শেখ হাসিনার নব্য বাকশালের রুদ্র শাসনের মুখপাত্র হয়েছেন, ইতিহাস এদের ক্ষমা করবে না। অসত্য কখনোই টিকে থাকবে না।
রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের যতই চিৎকার করুক, দেশবাসীর নিকট এটি প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অপর নাম সিন্ডিকেট আর লুটপাট। কোনো কিছু সামাল দিতে না পেরে, সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এখন ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ইফতার ভাঙার কর্মসূচিতে।
তিনি আরও বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই তারা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে এবং আলেম সমাজের ওপর নিপীড়ন নেমে আসে। এর কারণ প্রভুদেরকে খুশি করা।