০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাফায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার অনুমতি নেতানিয়াহুর

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার রাফাতে স্থল হামলার অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (১৫ই মার্চ) যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, রাফাতে হামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর ফলে শহরটিতে আটকে পড়া প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদে স্থল অভিযান চালাতে পারবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খবর আলজাজিরার।

নেতানিয়াহুর এই উদ্যোগকে আরও গণহত্যার চালানোর মতো অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন হামাসের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি।

এদিকে গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরায়েলি বাহিনী একটি বাড়িতে বোমাবর্ষণ করলে কমপক্ষে ৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বোমাবর্ষণে একটি পরিবারের শিশুসহ সবাই মারা গেছে।

এদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী রাফাতে হামলার অনুমতি দেওয়ার পর এর বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১৫ই মার্চ) অষ্ট্রিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইসরাইলকে রাফাতে কোনো ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর আগে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দেখাতে হবে।

ওদিকে বার্তাসংস্থা এএফপির এক খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে এক বিরল বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের পরবর্তী তৎপরতার বিষয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে নতুন করে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। এই প্রস্তাবে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের লক্ষ্যে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দিতে ইসরায়েলে সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ মোসাদের প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কাতার যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘের শিশু সাহায্য সংস্থা ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ৩১ শতাংশ মারাত্মক পুষ্টিহীনতার শিকার। গত জানুয়ারিতে মারাত্মক পুষ্টিহীনতার শিকার শিশুদের এই সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

রাফায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার অনুমতি নেতানিয়াহুর

আপডেট : ০১:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার রাফাতে স্থল হামলার অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (১৫ই মার্চ) যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, রাফাতে হামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর ফলে শহরটিতে আটকে পড়া প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদে স্থল অভিযান চালাতে পারবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খবর আলজাজিরার।

নেতানিয়াহুর এই উদ্যোগকে আরও গণহত্যার চালানোর মতো অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন হামাসের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি।

এদিকে গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরায়েলি বাহিনী একটি বাড়িতে বোমাবর্ষণ করলে কমপক্ষে ৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বোমাবর্ষণে একটি পরিবারের শিশুসহ সবাই মারা গেছে।

এদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী রাফাতে হামলার অনুমতি দেওয়ার পর এর বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১৫ই মার্চ) অষ্ট্রিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইসরাইলকে রাফাতে কোনো ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর আগে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দেখাতে হবে।

ওদিকে বার্তাসংস্থা এএফপির এক খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে এক বিরল বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের পরবর্তী তৎপরতার বিষয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে নতুন করে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। এই প্রস্তাবে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের লক্ষ্যে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দিতে ইসরায়েলে সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ মোসাদের প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কাতার যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘের শিশু সাহায্য সংস্থা ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ৩১ শতাংশ মারাত্মক পুষ্টিহীনতার শিকার। গত জানুয়ারিতে মারাত্মক পুষ্টিহীনতার শিকার শিশুদের এই সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ।