টানা ছয় মৌসুম সেমিফাইনালে উঠল ম্যানচেস্টার সিটি
- আপডেট সময় : ০৩:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
- / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
গত মৌসুমে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবার ট্রেবল জিতেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গার্দিওলার অধীনে এফএ কাপ, প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ঘরে তোলে সিটিজেনরা। ঐতিহাসিক সাফল্য আরেকবার পুনরাবৃত্তির করতে দলটি এখন পর্যন্ত সঠিক কক্ষপথেই আছে।
গতকাল শনিবার রাতে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল গার্দিওলার শিষ্যরা। টুর্নামেন্টে আগের পাঁচ মৌসুমে শেষ আটে একবারও হারেনি সিটি। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। গতকাল ঘরের মাঠ ইতিহাদে বের্নাদো সিলভার জোড়া গোলে নিউক্যাসলকে ২-০ গোলে হারিয়ে এফএ কাপের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা ছয় মৌসুম সেমিফাইনালে উঠল দলটি।
পেপ গার্দিওলা দায়িত্ব নেওয়ার পরে আট মৌসুমের সাতবারই এ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলেছে সিটি। এর মধ্যে ফাইনালে উঠেছিল দুবার। দুবারই শিরোপা ঘরে তুলেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার ঘরের মাঠ ইতিহাদে নিউক্যাসলকে আতিথ্য দেয় ম্যানসিটি। গতকালের আগে চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত তিনবারের মুখোমুখি দেখায় দুবার কষ্টার্জিত জয় পেয়েছিল গার্দিওলার শিষ্যরা, আরেকবার তো হেরেই বসেছিল। তাই গতকালের ম্যাচ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন সিটির সমর্থকেরা।
ম্যাচের মাত্র ১৩ মিনিটেই শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে দিয়েছেন সিলভা। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রির বাড়ানো পাসে বল পেয়ে ড্রিবল করে নিউক্যাসলের গোলমুখে শট নেন পর্তুগিজ তারকা। প্রতিপক্ষ গোলকিপার মার্টিন দুবরাবকা ঠিকমতোই ঝাঁপিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে ডেনিয়েল বার্নের মাথায় বল লেগে খানিকটা দিক পাল্টে আশ্রয় নেয় নিউক্যাসলের জালে।
শুরুতে এগিয়ে যাওয়া সিটি ম্যাচ জুড়েই আধিপত্য বিস্তার করেছে। গতকাল এডি হাওয়ের শিষ্যদের কোনো সুযোগই দেননি সিলভা-রদ্রিরা। ম্যাচের ৭২ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখা সিটি নিউক্যাসলের গোলমুখে শট নিয়েছে ১৬টি, যেখানে প্রতিপক্ষ নিতে পেরেছে মাত্র ২টি। এ পরিসংখ্যানেই ম্যাচের চিত্র স্পষ্ট বোঝা যায়।
এক গোলের লিড নিয়েও স্বস্তিতে থাকতে পারছিল না সিটি। প্রতি আক্রমণে স্বাগতিক সমর্থকদের বুকের কাঁপন ধরিয়েছিলেন অ্যালেক্সান্ডার আইজ্যাক। কিন্তু সুইডেনের স্ট্রাইকারের শট ঠেকিয়ে দিয়ে সিটিকে সে যাত্রায় উদ্ধার করেন গোলকিপার স্তেফান ওরতেগা।
অবশ্য বেশিক্ষণ সিটিকে অস্বস্তিতে থাকতে হয়নি। ম্যাচের ৩১ মিনিটে স্কোরলাইন দ্বিগুণ করেন সিলভা। এ গোলটিও এসেছে অনেকটা প্রথম গোলের মতো করেই। এবার রুবেন দিয়াসের পাস থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ে শট নিয়েছিলেন সিলভা। নিউক্যাসল ডিফেন্ডার সেন বটম্যানের গায়ে লেগে দিক পাল্টালে কিছু করার ছিল না দুবরাবকার।
ম্যাচের এক তৃতীয়াংশেই দুই গোলের লিড পাওয়া সিটি এর পর আক্রমণের ঝড় তুললেও সেগুলো গোলে পরিণত করতে পারেননি আর্লিং হলান্ড-ফোডেনরা। তাই ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় গার্দিওলার শিষ্যদের। দিনের অপর কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ দিকের নাটকীয়তায় উলভসকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে কভেন্ট্রি সিটি।