ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে সোমালিয়ায় অভিযানের প্রস্তুতি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং জিম্মি ২৩ নাবিককে জলদস্যুদের কবজা থেকে মুক্ত করতে সোমালি পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ। দেশটির স্বায়ত্বশাসিত পান্টল্যান্ড অঞ্চল জলদস্যুদের অভয়ারণ্য হিসেবে মনে করা হয়। খবর রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের নৌবাহিনীর সদস্যরা জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনে সফল অভিযান চালিয়ে ১৭ ক্রুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার পর এবার এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে অভিযানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।

সোমালিয়ার আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ডের উপকূলীয় এলাকায় দেশটির জলদস্যুদের অনেক ঘাঁটি রয়েছে। ওই অঞ্চলের পুলিশ বাহিনী বলেছে, তারা উচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছেন। একই সঙ্গে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে রাখা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছেন।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এমভি আবদুল্লাহকে মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের পরিকল্পনা করছে এমন খবর পাওয়ার পর পুন্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনীও প্রস্তুতি নিয়েছে।’’

তবে ভারত মহাসাগরে কয়েকটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়া ভারতের নৌবাহিনী এমভি আব্দুল্লাহকে ঘিরে অভিযানের প্রস্তুতির ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

রোববার পুন্টল্যান্ড পুলিশ জানায়, তারা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অবস্থানরত জলদস্যুদের সরবরাহ করার কাজের জন্য মাদক খাত থেকে নেওয়া একটি গাড়ি জব্দ করেছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের এই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল ২০১১ সালে। ওই সময় সোমালি জলদস্যুদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। এর মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার তাদের কাছে গিয়েছিল মুক্তিপণ হিসেবে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নোঙ্গর করলেও পরবর্তীতে একের পর এক অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে সোমালিয়ায় অভিযানের প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ১১:৩০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং জিম্মি ২৩ নাবিককে জলদস্যুদের কবজা থেকে মুক্ত করতে সোমালি পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ। দেশটির স্বায়ত্বশাসিত পান্টল্যান্ড অঞ্চল জলদস্যুদের অভয়ারণ্য হিসেবে মনে করা হয়। খবর রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের নৌবাহিনীর সদস্যরা জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনে সফল অভিযান চালিয়ে ১৭ ক্রুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার পর এবার এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে অভিযানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।

সোমালিয়ার আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ডের উপকূলীয় এলাকায় দেশটির জলদস্যুদের অনেক ঘাঁটি রয়েছে। ওই অঞ্চলের পুলিশ বাহিনী বলেছে, তারা উচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছেন। একই সঙ্গে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে রাখা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছেন।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এমভি আবদুল্লাহকে মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের পরিকল্পনা করছে এমন খবর পাওয়ার পর পুন্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনীও প্রস্তুতি নিয়েছে।’’

তবে ভারত মহাসাগরে কয়েকটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়া ভারতের নৌবাহিনী এমভি আব্দুল্লাহকে ঘিরে অভিযানের প্রস্তুতির ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

রোববার পুন্টল্যান্ড পুলিশ জানায়, তারা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অবস্থানরত জলদস্যুদের সরবরাহ করার কাজের জন্য মাদক খাত থেকে নেওয়া একটি গাড়ি জব্দ করেছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের এই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল ২০১১ সালে। ওই সময় সোমালি জলদস্যুদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। এর মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার তাদের কাছে গিয়েছিল মুক্তিপণ হিসেবে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নোঙ্গর করলেও পরবর্তীতে একের পর এক অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।