ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

গাজায় ১৩ হাজার শিশু নিহত, জীবিতরা ভুগছে অপুষ্টিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধে গত পাঁচ মাসে গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া যেসব শিশু জীবিত রয়েছে, তারা ভুগছে গুরুতর অপুষ্টিতে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এ তথ্য জানিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় বেঁচে থাকা শিশিদের অবস্থা এতটাই করুণ যে, তাদের দাঁড়িয়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল গতকাল রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে। তারা কোথায় আছে আমাদের জানা নেই। ধারণা করা হচ্ছে তারা ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে। বিশ্বের আর কোনো যুদ্ধে এভাবে শিশুদের হত্যা করতে আমরা দেখিনি।’

ক্যাথরিন রাসেল আরও বলেন, শিশুদের একটি ওয়ার্ডে আমি ছিলাম। সেখানে দেখেছি, ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা। শুধু প্রাণটুকুই রয়েছে তাদের। কান্না করার মতো শক্তিও নেই। সারা ওয়ার্ড নিরব–নিম্তব্ধ।

গাজার শিশুদের খাবার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ক্যাথরিন রাসেল। তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারছে না। এ জন্য তীব্র খাদ্য সঙ্কটে রয়েছে গাজাবাসী।

গাজার শিশুদের দুর্দশা ও অপুষ্টিতে ভোগার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, উত্তর গাজার এক–তৃতীয়াংশ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গাজার রাফাহ এলাকায় আরও হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, গাজার যুদ্ধ লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোনো চাপই আমাদের ঠেকাতে পারবে না। আমরা হামসকে নির্মূল করই এবং আমাদের সকল জিম্মিকে ফিরিয়ে আনব।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ হচ্ছে মিশরের সীমান্তবর্তী একটি শহর। এ শহরে ১০ লাখের বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৩১ হাজার ৬৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ১৩ হাজার শিশু নিহত, জীবিতরা ভুগছে অপুষ্টিতে

আপডেট সময় : ০৩:০৭:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধে গত পাঁচ মাসে গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া যেসব শিশু জীবিত রয়েছে, তারা ভুগছে গুরুতর অপুষ্টিতে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এ তথ্য জানিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় বেঁচে থাকা শিশিদের অবস্থা এতটাই করুণ যে, তাদের দাঁড়িয়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল গতকাল রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে। তারা কোথায় আছে আমাদের জানা নেই। ধারণা করা হচ্ছে তারা ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে। বিশ্বের আর কোনো যুদ্ধে এভাবে শিশুদের হত্যা করতে আমরা দেখিনি।’

ক্যাথরিন রাসেল আরও বলেন, শিশুদের একটি ওয়ার্ডে আমি ছিলাম। সেখানে দেখেছি, ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা। শুধু প্রাণটুকুই রয়েছে তাদের। কান্না করার মতো শক্তিও নেই। সারা ওয়ার্ড নিরব–নিম্তব্ধ।

গাজার শিশুদের খাবার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ক্যাথরিন রাসেল। তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারছে না। এ জন্য তীব্র খাদ্য সঙ্কটে রয়েছে গাজাবাসী।

গাজার শিশুদের দুর্দশা ও অপুষ্টিতে ভোগার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, উত্তর গাজার এক–তৃতীয়াংশ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গাজার রাফাহ এলাকায় আরও হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, গাজার যুদ্ধ লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোনো চাপই আমাদের ঠেকাতে পারবে না। আমরা হামসকে নির্মূল করই এবং আমাদের সকল জিম্মিকে ফিরিয়ে আনব।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ হচ্ছে মিশরের সীমান্তবর্তী একটি শহর। এ শহরে ১০ লাখের বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৩১ হাজার ৬৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।