০৯:২৫ অপরাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিটেনের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির শঙ্কা

ব্রেক্সিটের পর করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ব্রিটেনের অর্থনীতিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও বেকায়দায় ফেলে। এর মধ্যেই গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন সংকটের মাত্রা বাড়িয়েছে। আর এসবকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের রাজনৈতিক সমীকরণ ঘোলাটে হচ্ছে।

রাজনৈতিক নানা নাটকীয়তা আর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে ব্রিটেন। এ অবস্থায় জনমত জরিপ বলছে, চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হবে।

নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে ঋষি সুনাক প্রশাসনকে। তবে চলতি বছরই আগাম নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে দাবি জোরালো হচ্ছে। এমনকি সাম্প্রতিক জনমত জরিপের তথ্য বলছে, নির্বাচনে প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ সমর্থন করছে লেবার পার্টিকে। যেখানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থনের হার মাত্র ২৪ শতাংশ। তবে গাজায় চলমান ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় লেবার পার্টিকে ভোট দেবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় অছেন ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের মুসলিম ভোটাররা।

ভোটাররা বলেন, ‘ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লেবার পার্টিকে শক্ত কোনো অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। এ কারণে ভোটারদের মাঝে কনফিউশন তৈরি হয়েছে। এছাড়া পার্টিগুলোর নির্বাচনী ক্যাম্পেইন অনুযায়ী আমরা ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবো।’

বলা যায়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে উত্তাল ব্রিটেনের রাজনীতি। এর মধ্যেই রোচডালে আসনের উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে ফিরেছেন লেবার পার্টির বহিষ্কৃত এমপি জর্জ গ্যালওয়ে। এতে লেবার পার্টির দুশ্চিন্তাও বেড়ে গেছে। এই সুযোগে নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হচ্ছেন কট্টর ডানপন্থীরা।

ব্রিটেনের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ বলেন, ‘মুসলমানদেরকে নিয়ে চারদিকে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে বিরূপ মন্তব্য শুরু হয়েছে। আর আগামী নির্বাচনে অনেক ছোটখাটো দল স্বাধীনভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।’

বিগত বছরগুলোতে একের পর এক প্রধানমন্ত্রী পদে পরিবর্তনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দায় অনেকটা চাপের মধ্য দিয়ে সরকার পরিচালনা করেছে কনজারভেটিভ পার্টি। তাই জনসমর্থন বাড়াতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ঋষি সুনাক সরকার। এরই অংশ হিসেবে নির্বাচনের আগে মূল্যস্ফীতি কমপক্ষে ২ শতাংশ কমিয়ে আনার পাশাপাশি ব্যাংক সুদের হারও কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এমনকি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিতর্কিত রুয়ান্ডা বিলও সংসদে আনার কথা ভাবছে ঋষি সুনাক প্রশাসন।

ব্রিটেনের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির শঙ্কা

আপডেট : ০১:২৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

ব্রেক্সিটের পর করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ব্রিটেনের অর্থনীতিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও বেকায়দায় ফেলে। এর মধ্যেই গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন সংকটের মাত্রা বাড়িয়েছে। আর এসবকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের রাজনৈতিক সমীকরণ ঘোলাটে হচ্ছে।

রাজনৈতিক নানা নাটকীয়তা আর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে ব্রিটেন। এ অবস্থায় জনমত জরিপ বলছে, চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হবে।

নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে ঋষি সুনাক প্রশাসনকে। তবে চলতি বছরই আগাম নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে দাবি জোরালো হচ্ছে। এমনকি সাম্প্রতিক জনমত জরিপের তথ্য বলছে, নির্বাচনে প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ সমর্থন করছে লেবার পার্টিকে। যেখানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থনের হার মাত্র ২৪ শতাংশ। তবে গাজায় চলমান ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় লেবার পার্টিকে ভোট দেবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় অছেন ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের মুসলিম ভোটাররা।

ভোটাররা বলেন, ‘ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লেবার পার্টিকে শক্ত কোনো অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। এ কারণে ভোটারদের মাঝে কনফিউশন তৈরি হয়েছে। এছাড়া পার্টিগুলোর নির্বাচনী ক্যাম্পেইন অনুযায়ী আমরা ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবো।’

বলা যায়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে উত্তাল ব্রিটেনের রাজনীতি। এর মধ্যেই রোচডালে আসনের উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে ফিরেছেন লেবার পার্টির বহিষ্কৃত এমপি জর্জ গ্যালওয়ে। এতে লেবার পার্টির দুশ্চিন্তাও বেড়ে গেছে। এই সুযোগে নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হচ্ছেন কট্টর ডানপন্থীরা।

ব্রিটেনের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ বলেন, ‘মুসলমানদেরকে নিয়ে চারদিকে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে বিরূপ মন্তব্য শুরু হয়েছে। আর আগামী নির্বাচনে অনেক ছোটখাটো দল স্বাধীনভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।’

বিগত বছরগুলোতে একের পর এক প্রধানমন্ত্রী পদে পরিবর্তনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দায় অনেকটা চাপের মধ্য দিয়ে সরকার পরিচালনা করেছে কনজারভেটিভ পার্টি। তাই জনসমর্থন বাড়াতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ঋষি সুনাক সরকার। এরই অংশ হিসেবে নির্বাচনের আগে মূল্যস্ফীতি কমপক্ষে ২ শতাংশ কমিয়ে আনার পাশাপাশি ব্যাংক সুদের হারও কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এমনকি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিতর্কিত রুয়ান্ডা বিলও সংসদে আনার কথা ভাবছে ঋষি সুনাক প্রশাসন।