ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ট্রাম্পের সম্পদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিউ ইয়র্কে একটি প্রতারণা মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে ট্রাম্প এ পরিমাণ নগদ অর্থের ব্যবস্থা করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। এমন অবস্থায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে ট্রাম্প। খবর বিবিসি

জালিয়াতি করে ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেন। সঙ্গে রয়েছে ‍সুদ। এতে সব মিলে তাকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হবে।

আদালতের বিচারপতি বলেন, মোটা অঙ্কের ঋণ পেতে ট্রাম্প ব্যাংকারদের কাছে তার নিজের ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের মূল্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছেন।

মামলাটির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই ট্রাম্পকে জরিমানার অর্থ প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া বন্ডের মাধ্যমেও পরিশোধ করা যাবে।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ পরিমাণ অর্থের সমতুল্য বন্ড দিতে আগ্রহী কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেও সফল হননি। ট্রাম্প নিজেও বলছেন এতো বড় আকারের বন্ড জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। তিনি এই অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে, আদালত তার আবাসন ব্যবসার কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থের যোগান দিতে পারে।

ট্রাম্প যদি জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে আগামী সোমবারই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ তার সম্পদ জব্দের কাজ শুরু করতে পারে।

উল্লেখ্য, এই জরিমানাই ট্রাম্পের একমাত্র জরিমানা নয়। এরআগে, অপর এক মামলায় আদালত তাকে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার পরিশোধের নির্দেশ দেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ট্রাম্পের সম্পদ

আপডেট সময় : ০৭:২৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

নিউ ইয়র্কে একটি প্রতারণা মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে ট্রাম্প এ পরিমাণ নগদ অর্থের ব্যবস্থা করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। এমন অবস্থায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে ট্রাম্প। খবর বিবিসি

জালিয়াতি করে ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেন। সঙ্গে রয়েছে ‍সুদ। এতে সব মিলে তাকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হবে।

আদালতের বিচারপতি বলেন, মোটা অঙ্কের ঋণ পেতে ট্রাম্প ব্যাংকারদের কাছে তার নিজের ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের মূল্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছেন।

মামলাটির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই ট্রাম্পকে জরিমানার অর্থ প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া বন্ডের মাধ্যমেও পরিশোধ করা যাবে।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ পরিমাণ অর্থের সমতুল্য বন্ড দিতে আগ্রহী কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেও সফল হননি। ট্রাম্প নিজেও বলছেন এতো বড় আকারের বন্ড জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। তিনি এই অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে, আদালত তার আবাসন ব্যবসার কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থের যোগান দিতে পারে।

ট্রাম্প যদি জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে আগামী সোমবারই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ তার সম্পদ জব্দের কাজ শুরু করতে পারে।

উল্লেখ্য, এই জরিমানাই ট্রাম্পের একমাত্র জরিমানা নয়। এরআগে, অপর এক মামলায় আদালত তাকে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার পরিশোধের নির্দেশ দেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট