০৭:২৯ অপরাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবার আলোচনায় বসেছে ইসরায়েল–হামাস

কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা ইস্যু নিয়ে আজ মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করেছেন ইরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। অন্যদিকে হামাসের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতা করছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির নেতৃত্বাধীন কাতার ও মিশরের প্রতিনিধিদল।

একজন জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, এবারের যুদ্ধবিরতির আলোচনা দুই সপ্তাহব্যাপী দীর্ঘ হতে পারে। ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল এবার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধের সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। এই পুরোটা সময় ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল দোহায় থাকবেন বলেও জানান তিনি।

ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীদের দল ও ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল—উভয়েই দোহায় একটি কম্পাউন্ডের আলাদা দুটি অংশে থাকবেন। যুদ্ধবিরতির আলোচনাটি একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া হতে চলেছে। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একটি চুক্তি করার চেষ্টা করতে চাই।’

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আজ বৈঠক শেষে বার্নিয়া হয়তো ইসরায়েলে ফিরে আসতে পারেন, তবে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদল দোহায় থাকবেন।

এ ব্যাপারে হামাস কিংবা হামাসের প্রতিনিধিত্বকারী মধ্যস্থতাকারীদলের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মিসরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সে আলোচনায় অংশ নেয়নি ইসরায়েল।

তখন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসিম নাইম বলেছিলেন, আলোচনা চলার সময় তাঁরা তাঁদের প্রস্তাব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে উত্থাপন করেছেন এবং ইসরায়েলের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

কিন্তু ইসরায়েল দাবি করেছে, যেসব জীবিত এবং মৃত জিম্মি এখনো গাজায় আছেন তাদের তালিকা দিতে হবে। তবে যুদ্ধবিরতি ছাড়া এটি অসম্ভব বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র। কারণ হিসেবে নাইম বলেছেন, ‘জিম্মিরা গাজায় বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর তারা একাধিক গ্রুপের হাতে আটক রয়েছে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানায় ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস সদস্যরা। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৩১ হাজার ৬৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবার আলোচনায় বসেছে ইসরায়েল–হামাস

আপডেট : ০২:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা ইস্যু নিয়ে আজ মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করেছেন ইরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। অন্যদিকে হামাসের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতা করছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির নেতৃত্বাধীন কাতার ও মিশরের প্রতিনিধিদল।

একজন জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, এবারের যুদ্ধবিরতির আলোচনা দুই সপ্তাহব্যাপী দীর্ঘ হতে পারে। ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল এবার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধের সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। এই পুরোটা সময় ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল দোহায় থাকবেন বলেও জানান তিনি।

ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীদের দল ও ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল—উভয়েই দোহায় একটি কম্পাউন্ডের আলাদা দুটি অংশে থাকবেন। যুদ্ধবিরতির আলোচনাটি একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া হতে চলেছে। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একটি চুক্তি করার চেষ্টা করতে চাই।’

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আজ বৈঠক শেষে বার্নিয়া হয়তো ইসরায়েলে ফিরে আসতে পারেন, তবে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদল দোহায় থাকবেন।

এ ব্যাপারে হামাস কিংবা হামাসের প্রতিনিধিত্বকারী মধ্যস্থতাকারীদলের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মিসরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সে আলোচনায় অংশ নেয়নি ইসরায়েল।

তখন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসিম নাইম বলেছিলেন, আলোচনা চলার সময় তাঁরা তাঁদের প্রস্তাব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে উত্থাপন করেছেন এবং ইসরায়েলের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

কিন্তু ইসরায়েল দাবি করেছে, যেসব জীবিত এবং মৃত জিম্মি এখনো গাজায় আছেন তাদের তালিকা দিতে হবে। তবে যুদ্ধবিরতি ছাড়া এটি অসম্ভব বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র। কারণ হিসেবে নাইম বলেছেন, ‘জিম্মিরা গাজায় বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর তারা একাধিক গ্রুপের হাতে আটক রয়েছে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানায় ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস সদস্যরা। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৩১ হাজার ৬৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।