ছিনতাই হওয়া জাহাজ উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৯:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
- / ৪০০ বার পড়া হয়েছে
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তবে তাদের উদ্ধারে সোমালি পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক এবং জাহাজ দুটোকেই মুক্ত করা।’
গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। জাহাজের ২৩ নাবিককে স্পিডবোটে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন একজন।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। আক্রান্ত নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এস আর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।
জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে এস আর শিপিং। এজন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
গত সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে প্রস্তুতি শুরু করেছে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী।
সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড এলাকার পুলিশ বাহিনী বলছে, এরই মধ্যে তারা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এবার হামলা চালানোর পালা। পুন্টল্যান্ড এলাকাটি জলদস্যুদের ‘আঁতুড়ঘর’ হিসেবেই পরিচিত। এ কারণে এর প্রশাসন এবার কঠোর হয়েছেন। জারি করেছেন বিশেষ সতর্কতা।
এর আগে গত রোববার পুন্টল্যান্ড এলাকার পুলিশ বাহিনী জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা জলদস্যুদের মাদক সরবরাহ করতে যাওয়া একটি যান তারা জব্দ করেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দাবি করেন, রয়টার্সের এ প্রতিবেদন সঠিক নয়।