ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উপজেলা নির্বাচনে বেড়েছে জামানত, স্বতন্ত্রদের ছাড় দিল ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ গুণ বাড়িয়ে এক লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২০ মার্চ) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও নির্বাচন আচরণ বিধিমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

দুটি বিধিমালায় একগুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে, আগে আটের এক ভাগ ভোট না পেলে জামানত বাতিলের বিধান ছিল, সেটা কমিয়ে পনেরো ভাগের এক ভাগ করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটে দাঁড়াতে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের বিধান তুলে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী ব্যয় চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ লাখ ও মহিলা সদস্য পদে ব্যয় এক লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে ভোটার সংখ্যার অনুপাতে ব্যয়সীমা নির্ধারণ হতো।

ইসি জানায়, আগামী উপজেলা নির্বাচনে এসব বিধান কার্যকর হবে। সংশোধিত বিধি অনুযায়ী প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এতদিন তা ছিল এক অষ্টমাংশ। এছাড়া এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে।

প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে বিধিমালায় ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এসব সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। আইন মন্ত্রণালয়ের সায় পাওয়ায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিধিমালা দুটির সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ইতিমধ্যে আগামী ৪, ১৮ ও ২৫ মে এবং ১ জুন দেশের ৪৮১টি উপজেলায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে নতুন নিয়মেই হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এতোদিন বিধিমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপনের ওপর আটকে ছিল বিস্তারিত তফসিল।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

নিউজটি শেয়ার করুন

উপজেলা নির্বাচনে বেড়েছে জামানত, স্বতন্ত্রদের ছাড় দিল ইসি

আপডেট সময় : ০২:৩২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ গুণ বাড়িয়ে এক লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২০ মার্চ) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও নির্বাচন আচরণ বিধিমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

দুটি বিধিমালায় একগুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে, আগে আটের এক ভাগ ভোট না পেলে জামানত বাতিলের বিধান ছিল, সেটা কমিয়ে পনেরো ভাগের এক ভাগ করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটে দাঁড়াতে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের বিধান তুলে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী ব্যয় চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ লাখ ও মহিলা সদস্য পদে ব্যয় এক লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে ভোটার সংখ্যার অনুপাতে ব্যয়সীমা নির্ধারণ হতো।

ইসি জানায়, আগামী উপজেলা নির্বাচনে এসব বিধান কার্যকর হবে। সংশোধিত বিধি অনুযায়ী প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এতদিন তা ছিল এক অষ্টমাংশ। এছাড়া এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে।

প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে বিধিমালায় ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এসব সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। আইন মন্ত্রণালয়ের সায় পাওয়ায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিধিমালা দুটির সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ইতিমধ্যে আগামী ৪, ১৮ ও ২৫ মে এবং ১ জুন দেশের ৪৮১টি উপজেলায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে নতুন নিয়মেই হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এতোদিন বিধিমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপনের ওপর আটকে ছিল বিস্তারিত তফসিল।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।