০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‍্যাম্প

চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজারে এফডিসি অংশের ডাউন র‌্যাম্প। আজ বুধবার (২০ মার্চ) সকালে এফডিসির সামনের ডাউন র‌্যাম্পটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‍্যাম্প দিয়ে উত্তরা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করা গাড়িগুলো মগবাজার, হাতিরঝিলসহ কারওয়ান বাজার এলাকায় নামতে পারবে।

নতুন এই র‍্যাম্পের উদ্বোধন করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রোজা ও ঈদ সামনে রেখে নগরবাসীর জন্য এটা প্রধানমন্ত্রীর উপহার। তবে চলতি বছর এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে না। আগামী বছরের শুরুর দিকে এটি পুরোপুরি শেষ হবে।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি গতিতে যানবাহন চলানো যাবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং পথচারী চলাচল করতে পারবে না। এটা আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি।’

পরে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, ডিসেম্বরে চালু হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। রাজধানীর যানজট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকায় সবকটি মেট্রোরেল চালু হয়ে গেলে যানজট ধীরে ধীরে কমে আসবে।

এর আগে, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি যানবাহন ওঠা-নামার র‍্যাম্প রয়েছে। তবে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশে ১৫টি র‍্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বিমানবন্দর এলাকায় দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেট এলাকায় একটি স্থানে যানবাহন ওঠা-নামা করতে পারছে।

সেতু বিভাগ বলছে, মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আর ওঠা-নামার স্থানে (র‍্যাম্প) সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সব ধরনের যানবাহন চললেও মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‍্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র‌্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হয়।

উন্মুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার। বিমানবন্দর, বনানীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উঠে এ র‍্যাম্প দিয়ে নেমে যাওয়া যাবে কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, মগবাজার, মিন্টো রোডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

খুলল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‍্যাম্প

আপডেট : ০১:০১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজারে এফডিসি অংশের ডাউন র‌্যাম্প। আজ বুধবার (২০ মার্চ) সকালে এফডিসির সামনের ডাউন র‌্যাম্পটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‍্যাম্প দিয়ে উত্তরা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করা গাড়িগুলো মগবাজার, হাতিরঝিলসহ কারওয়ান বাজার এলাকায় নামতে পারবে।

নতুন এই র‍্যাম্পের উদ্বোধন করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রোজা ও ঈদ সামনে রেখে নগরবাসীর জন্য এটা প্রধানমন্ত্রীর উপহার। তবে চলতি বছর এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে না। আগামী বছরের শুরুর দিকে এটি পুরোপুরি শেষ হবে।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি গতিতে যানবাহন চলানো যাবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং পথচারী চলাচল করতে পারবে না। এটা আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি।’

পরে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, ডিসেম্বরে চালু হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। রাজধানীর যানজট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকায় সবকটি মেট্রোরেল চালু হয়ে গেলে যানজট ধীরে ধীরে কমে আসবে।

এর আগে, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি যানবাহন ওঠা-নামার র‍্যাম্প রয়েছে। তবে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশে ১৫টি র‍্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বিমানবন্দর এলাকায় দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেট এলাকায় একটি স্থানে যানবাহন ওঠা-নামা করতে পারছে।

সেতু বিভাগ বলছে, মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আর ওঠা-নামার স্থানে (র‍্যাম্প) সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সব ধরনের যানবাহন চললেও মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‍্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র‌্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হয়।

উন্মুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার। বিমানবন্দর, বনানীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উঠে এ র‍্যাম্প দিয়ে নেমে যাওয়া যাবে কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, মগবাজার, মিন্টো রোডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়।