ঈদে পোশাক কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ রাখতে হবে: কাদের
- আপডেট সময় : ০৪:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
- / ৪০৩ বার পড়া হয়েছে
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবার ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ রাখতে হবে। ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঈদের সাত দিন আগে থেকে দেশের সব সড়কে নির্মাণকাজ বন্ধ থাকবে। সেইসঙ্গে ঈদের পরের তিন দিনও কাজ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে বিআরটিএর সদর দপ্তরে ঈদুল ফিতরে মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবহন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের জানান, এবারের ঈদে যানজটের জন্য মহাসড়কগুলোর সম্ভাব্য ১৫৫ স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। ঈদের আগের ৩ দিন ও পরের ৩ দিন মহাসড়কে বন্ধ রাখা হবে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল। জাতীয় মহাসড়কে ঈদের আগে ও পরের তিনদিন সংস্কার কাজ বন্ধ রাখা হবে। সেই সঙ্গে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, তিন চাকার পর মহাসড়কে সবচেয়ে বড় উপদ্রব মোটরসাইকেল। এ নিয়ে নীতিমালা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। হাইওয়ে পুলিশের ক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। না হলে যতো সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক কোনো কাজে আসবে না।
সভায় শাজাহান খান বলেন, এবার ঈদে আশা করছি যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে। তবে, ভাড়া তৃতীয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তারা সড়কের চাঁদাবাজিতে মিডিয়া (বন্দোবস্তকারী) হিসেবে কাজ করে। তাদের আয় পরিবহন মালিকদের থেকেও বেশি। তারা গাড়িগুলো থেকে যে পরিমাণ টাকা নেয়, তা একটি গাড়ির ভাড়ার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
তিনি বলেন, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারলে জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারছি না। নির্দেশনা জারি করলেও শতভাগ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এটা সেতুমন্ত্রীকে দেখার অনুরোধ করছি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, পুলিশের আইজিপিসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।