মুসলিম দেশগুলোয় ইসরাইলি পণ্য বয়কটের হিড়িক
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
- / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর বিশ্বের অনেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশে ইসরাইল ও তাদের মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর মালিকানাধীন পণ্য বয়কটের হিড়িক পড়ে যায়। এমন প্রতিবাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো, পশ্চিমা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানগুলো বড় অংকের লোকসানে পড়লে টনক নড়বে সরকার প্রধানদের। বন্ধ হবে ইসরাইলকে সহায়তা দেয়া। কিন্তু বাস্তবতা হলো হামলা বন্ধের পরিবর্তে নৃশংসতার মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।
রমজান মাসেও গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না হওয়ায় বিশ্বজুড়ে ইসরাইলসহ পশ্চিমা পণ্য থেকে মুখ ফিরেয়ে নেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বয়কটের তালিকার শীর্ষে থাকা ব্র্যান্ডগুলো হলো ম্যাকডোনাল্ডস, স্টারবাকস ও ইউনিলিভার। যার কারণে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় লেগেছে ভাটার টান।
পবিত্র রমজান মাসেও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ চালাতে হাত কাঁপছে না ইসরাইলি বাহিনীর। এতে করে আরও জোরালো হচ্ছে বয়কটের আন্দোলন। রমজানে ইতোমধ্যেই ইসরাইলের খেজুর কেনা থেকে বিরত রয়েছেন অনেক দেশের মুসলমানরা। যে তালিকায় আছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া।
এখানেই শেষ নয়, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার যেসব মানুষ ম্যাকডোনাল্ডসে বসে ইফতার করতে পছন্দ করতেন, চলতি রমজানে তারাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এমনকি ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা বিনিয়োগ আছে এমন প্রতিষ্ঠানের পণ্যও রয়েছে বয়কটের তালিকায়। এরমধ্যে বোতলজাত পানির ব্র্যান্ড অ্যাকোয়াফিনা অন্যতম।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে, ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে মনে করা পণ্যগুলো বয়কট করার কারণে পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলোর উপর পড়ছে ক্ষতিকর প্রভাব। ফেব্রুয়ারিতে ম্যাকডোনাল্ডস জানায়, যুদ্ধের কারণে ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে বৈশ্বিক বিক্রি বেড়েছে মাত্র ০.৭ শতাংশ। যেখানে আগের বছরের একই সময় বিক্রি বেড়েছিল ১৬.৫ শতাংশ।
এদিকে ম্যাকডোনাল্ডস ছাড়াও বয়কটের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্বের বিখ্যাত চেইন কফিশপ স্টারবাকস এবং বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার। এরইমধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে বিক্রি কমায় ডাভ সাবান, বেন অ্যান্ড জেরির আইসক্রিম এবং নর স্টক কিউবের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে ইউনিলিভার।
এমনকি আইসক্রিম শাখার ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সাড়ে সাত হাজার কর্মীও ছাঁটাই করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বৈশ্বিক ব্যবসায়ে ১৬ শতাংশ অবদান থাকলেও সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ২০২৫ সালে শেষে আইসক্রিম ব্যবসা পুরোপুরি গুটিয়ে নিতে যাচ্ছে ইউনিলিভার।