বাজারে কয়েকটি সবজি ছাড়া বাকি সব অপরিবর্তিত
- আপডেট সময় : ০২:০৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
- / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম কমেছে। পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় প্রতিটি সবজি কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের বাজারে এখন সবচেয়ে দামি সবজির তালিকায় রয়েছে সজনা, বরবটি ও করলা। এগুলো ১০০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজি ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে গরু-খাসি-মুরগিসহ সব ধরনের মাংসের দামই বাড়তি যাচ্ছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সজিনা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানির কারণে সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দামও কিছুটা কমেছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, শসা ৮০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা এবং সজনে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা এবং আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে লেবুর হালি ৩০ থেকে ৭০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাংসের দামই বাড়তি যাচ্ছে। কিছুদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও, এটির এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা দরে। যা কিছুদিন আগেও ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিল। এছাড়া সোনালী মুরগির দামও বেড়ে প্রতি কেজি এখন ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কক মুরগি প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
রাজধানীর মহাখালী বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মনিরুল ইসলাম বলেন, বাজারে দুই এক ধরনের সবজির দাম কম থাকলেও বেশিরভাগ সবজির দামই বাড়তি। সজনে-বরবটি, করলা, পটলের দাম অনেক বেশি। এগুলো আমাদের সাধারণ মানুষের পক্ষে কিনে খাওয়া সম্ভব না। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সব ধরনের পণ্য আনতে হলে অবশ্যই বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে।
শুক্রবার বাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।