বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি পাওয়া থেকে বঞ্চিত। জলবায়ু পরিবর্তন ও ভূগর্ভের পানি বেশি ব্যবহার করায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। উপরিভাগের পানি ব্যবহারের ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মনে করেন, শতভাগ নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা না গেলেও দেশের ৯৮ ভাগ মানুষকে বিশুদ্ধ পানির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
দেশে এখনও দুর্গম অনেক এলাকা, গ্রামাঞ্চল ও শহরের বস্তি এলাকায় নিরাপদ পানি সহজে পাওয়া যায় না। অনেক এলাকার পানিতে রয়েছে জীবাণু, আর্সেনিক ও লবণাক্ততা। পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকার মানুষদের বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে হয় নির্দিষ্ট কিছু এলাকা থেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাব, উপকুলীয় এলাকায় লবনাক্ততা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া। তার সাথে বেড়েছে ভুগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের পরিমাণও। একারণে আগামীতে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি পায়না। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ সাধারণভাবে পানির সুবিধা পায়। গুণগত ও মানসম্পন্ন নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
ঢাকা শহরের ভূগর্ভের পানির স্তর বেশি পরিমাণে নেমে গেছে। তাই ভূগর্ভস্ত পানির ব্যবহার কমাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
বিশ্বে স্বাদু পানির প্রায় ৬৯ ভাগ ভূগর্ভে আর প্রায় ৩০ ভাগ মেরু অঞ্চলে বরফের স্তূপ হিসেবে জমা থাকে। মাত্র এক ভাগ নদী ও অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া যায়।