ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সাথে বাংলাদেশের চুক্তির সম্পর্ক নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের নাসিক থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমাদানি করছে সরকার। প্রথম ধাপে আগামী দুদিনের মধ্যে ১৬০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এদিকে, অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। তবে, এ ঘোষণার সাথে বাংলাদেশের চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার সাথে বাংলাদেশের চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই। প্রথম চালানের ১৬৫০ টন পেঁয়াজের সব প্রক্রিয়া শেষ। এখন ট্রেনে লোডিং হচ্ছে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আশা করা যাচ্ছে আগামী ২ দিনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা দর্শনা বন্দর দিয়ে দেশে আসবে পেঁয়াজের এই চালান।

শুল্ক অর্ধেক নেওয়ায় দেশে পেঁয়াজের দাম অনেক কমবে বলেও জানান তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, শুল্ক কমানো হয়েছে, যা আগে ৮০০ ছিল এখন ৪০০ টাকা। চাহিদা এবং সরবরাহের ওপর নির্ভর করে বাকি পেঁয়াজও দেশে আনা হবে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রপ্তানির ওপর ন্যূনতম মূল্যের বিধিনিষেধ দিয়েছিল ভারত সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এবার দেশটি জানাল, এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে কতদিন নিষেধাজ্ঞা থাকবে, তা জানানো হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

তবে, ৮ ডিসেম্বর ভারত হঠাৎ করেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকে পণ্যটির। সে সময় দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিতে ১৬০ ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৮০ টাকায়।

পরবর্তিতে গেল ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশসহ ৬ দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দেয় ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, এসব দেশে সরকারি পর্যায়ে জিটুজি প্রক্রিয়ায় রপ্তানি করা হবে পেঁয়াজ।

উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর ভারত হঠাৎ করেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকে পণ্যটির। সে সময় দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিতে ১৬০ ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৮০ টাকায়।

তবে গেল ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশসহ ৬ দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দেয় ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, এসব দেশে সরকারি পর্যায়ে জিটুজি প্রক্রিয়ায় রপ্তানি করা হবে পেঁয়াজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সাথে বাংলাদেশের চুক্তির সম্পর্ক নেই

আপডেট সময় : ১১:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

ভারতের নাসিক থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমাদানি করছে সরকার। প্রথম ধাপে আগামী দুদিনের মধ্যে ১৬০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এদিকে, অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। তবে, এ ঘোষণার সাথে বাংলাদেশের চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার সাথে বাংলাদেশের চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই। প্রথম চালানের ১৬৫০ টন পেঁয়াজের সব প্রক্রিয়া শেষ। এখন ট্রেনে লোডিং হচ্ছে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আশা করা যাচ্ছে আগামী ২ দিনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা দর্শনা বন্দর দিয়ে দেশে আসবে পেঁয়াজের এই চালান।

শুল্ক অর্ধেক নেওয়ায় দেশে পেঁয়াজের দাম অনেক কমবে বলেও জানান তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, শুল্ক কমানো হয়েছে, যা আগে ৮০০ ছিল এখন ৪০০ টাকা। চাহিদা এবং সরবরাহের ওপর নির্ভর করে বাকি পেঁয়াজও দেশে আনা হবে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রপ্তানির ওপর ন্যূনতম মূল্যের বিধিনিষেধ দিয়েছিল ভারত সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এবার দেশটি জানাল, এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে কতদিন নিষেধাজ্ঞা থাকবে, তা জানানো হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

তবে, ৮ ডিসেম্বর ভারত হঠাৎ করেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকে পণ্যটির। সে সময় দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিতে ১৬০ ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৮০ টাকায়।

পরবর্তিতে গেল ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশসহ ৬ দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দেয় ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, এসব দেশে সরকারি পর্যায়ে জিটুজি প্রক্রিয়ায় রপ্তানি করা হবে পেঁয়াজ।

উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর ভারত হঠাৎ করেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকে পণ্যটির। সে সময় দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিতে ১৬০ ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৮০ টাকায়।

তবে গেল ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশসহ ৬ দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দেয় ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, এসব দেশে সরকারি পর্যায়ে জিটুজি প্রক্রিয়ায় রপ্তানি করা হবে পেঁয়াজ।