আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আবারও কমেছে। তেলের দাম নিম্নমুখী হওয়ার পেছনে ডলারের শক্তিশালী অবস্থান ও গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার আইসিই ফিউচারস ইউরোপে প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয়েছে ৮৫ ডলার ৩০ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। আগের দিন বাজারে ব্রেন্টের দাম স্থির হয়েছিল ব্যারেলপ্রতি ৮৫ ডলার ৭৮ সেন্টে।
অন্যদিকে আমেরিকার বাজারে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত জ্বালানি প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয়েছে ৮০ ডলার ৬৪ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। আগের দিন বাজারে পণ্যটির মূল্যস্থির হয়েছিল ব্যারেলপ্রতি ৮১ ডলার শূন্য ৭ সেন্টে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য দেশের মুদ্রার তুলনায় ডলার এখনো শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারকারীদের খরচ বেড়ে গেছে। আর এটি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার পেছেন ভূমিকা রেখেছে।
অন্যদিকে গতকাল গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘের নিপাত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপর করেছিল আমেরিকা। এতে যুদ্ধবিরতির একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এ কারণে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী হয়। তবে শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়নি।
এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি তেল ও গ্যাস করপোরেশন সিএনপিসি জানিয়েছে, দেশটিতে আগামী বছরগুলোয় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ পেট্রল-ডিজেলচালিত গাড়ির বাজার অনেকটা দখলে নেবে বিদ্যুচ্চালিত বাহন। ফলে এ খাতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপক মাত্রায় কমে যাবে।