টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত খুলে গেল ৭টি ফ্লাইওভার
- আপডেট সময় : ০২:৫৮:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
- / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে
টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত মূল সড়কের ওপর বাস রাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের মূল সুফল এখনও অধরা থাকলেও ঈদের আগে আপাতত খুলে দেয়া হলো এই প্রকল্পের ৭টি ফ্লাইওভার। যার দুটি বিমানবন্দরের সামনে, জসিমউদ্দিন মোড়ে একটি, গাজীপুরায় একটি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি, ভোগড়া বাইপাস সড়কের ওপর একটি ও বাকি একটি গাজীপুর চৌরাস্তায়। সাতটি মিলে যার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার।
আজ (রোববার, ২৪ মার্চ) সকালে সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের ওপর থাকা ফ্লাইওভারগুলো উন্মুক্ত করে দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি বলেন, ‘এটি বাড়ি ফেরা যাত্রীদের জন্য ঈদ উপহার।’
মন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি নিয়ে সরকার নিজেও কিছুটা বিব্রত। তবে দ্রুত কাজ শেষ করে জনসাধারণকে বিআরটির শতভাগ সুবিধা দিতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রকল্প নির্মাণের সময় সড়কে ভোগান্তির কথা স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, ‘অস্বীকার করছি না এ প্রকল্প ভোগান্তির কারণ হয়েছে, তবে মন্দের ভালো কাজ অনেক দূর এগিয়েছে, বিআরটির ফ্লাইওভার, ওভারপাসগুলো ঈদযাত্রাকে স্বস্তিদায়ক করবে।’
বিআরটি প্রকল্প মহাখালী পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আর ভোগান্তি বাড়াতে চাই না।’
এছাড়া এই প্রকল্পের জন্য বিশেষায়িত বাস আনার ব্যাপারটি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে বলেও জানান তিনি। এ বছরই বাস র্যাপিড ট্রানজিটের করিডোর চালু করা হবে বলে আশা প্রকাশও করেন।
৭টি চালুর পর এই প্রকল্পে আর মাত্র একটি ফ্লাইওভার উদ্বোধন বাকি থাকবে। যেটি গাজীপুর চৌরাস্তায় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকামুখী। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান জানান, সেতু বিভাগের সাড়ে ৪ কিলোমিটারে শতভাগ কাজ জুনে আর সড়ক বিভাগের ১৬ কিলোমিটার শেষ হবে আগামী জুনে।
২০১২ সালে বাস র্যাপিড ট্রানজিট-বিআরটি প্রকল্প অনুমোদনের পর থেকেই নানাভাবে আলোচিত সমালোচিত প্রকল্পটির কাজ শুরু করতেই অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫ বছর। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা প্রকল্পটিতে এখন পর্যন্ত খরচ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আর এই পুরো সময়টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীদের পোহাতে হয়েছে মহা ভোগান্তি।
২০২২ সালের ৬ নভেম্বর উত্তরা আজমপুর থেকে টঙ্গী চেরাগ আলি পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার ফ্লাইওভারটি খুলে দেয়া হয়েছিলো। যদিও সেখানে কয়েকটি র্যাম্প এখনও চালু হয় নি।
২০১১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর একনেকে বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্পের সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।