ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
গাজীপুরের জয়দেবপুরে গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত :::: অর্জনকে নস্যাৎ করতে পতিত স্বৈরাচার পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরি করছে, ঐক্য ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে : মির্জা ফখরুল :::: সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের জেলা আদালতগুলোতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টিতে প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ প্রকাশ :::: চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সংঘর্ষ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১ হাজার ৪৭৬ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা

ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বাজার ব্যবস্থা কি ঠিক রাখা যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে তাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তোমরা ভারতে চিকিৎসা করতে যাবা, পেঁয়াজ খাবা, গরুর মাংস খাবা, শাড়ি পরবা, ভারত থেকে আসা অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করবা। আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবা! ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থা কি ঠিক রাখা যাবে?

রোববার (২৪ মার্চ) ভুটানের রাজার বাংলাদেশ সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো। না হলে এ রমজানের সময় ঈদের আগে এ ডাক কেন? আর সমস্ত ভারতীয় পণ্য বাদ দিয়ে কখনও বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থা ঠিক রাখা যাবে?

হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে কি না আসে। আর যারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছি, দেখা যাবে যে ভারতের পেঁয়াজ দিয়েই উনি ছোলা-পেঁয়াজু খেয়েছেন। ভারতীয় পেঁয়াজ দিয়ে ছোলা-পেঁয়াজু খেয়ে তিনি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন! আবার তার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি পরেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজের ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে কয়দিন আগে মেজর হাফিজ সাহেব ভারতে গেলেন চিকিৎসা করতে। তোমরা ভারতে চিকিৎসা করতে যাবা, পেঁয়াজ খাবা, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস খাবা, শাড়ি পরবা, ভারত থেকে আসা অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করবা। আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবা।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ এবং ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ভারতের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক এবং কয়েক হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। আমরা একে অপরের সহযোগী। এই সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের এ অঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত করতে হবে। এ সহযোগিতা বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে অব্যাহত রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বাজার ব্যবস্থা কি ঠিক রাখা যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

যারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে তাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তোমরা ভারতে চিকিৎসা করতে যাবা, পেঁয়াজ খাবা, গরুর মাংস খাবা, শাড়ি পরবা, ভারত থেকে আসা অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করবা। আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবা! ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থা কি ঠিক রাখা যাবে?

রোববার (২৪ মার্চ) ভুটানের রাজার বাংলাদেশ সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো। না হলে এ রমজানের সময় ঈদের আগে এ ডাক কেন? আর সমস্ত ভারতীয় পণ্য বাদ দিয়ে কখনও বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থা ঠিক রাখা যাবে?

হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে কি না আসে। আর যারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছি, দেখা যাবে যে ভারতের পেঁয়াজ দিয়েই উনি ছোলা-পেঁয়াজু খেয়েছেন। ভারতীয় পেঁয়াজ দিয়ে ছোলা-পেঁয়াজু খেয়ে তিনি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন! আবার তার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি পরেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজের ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে কয়দিন আগে মেজর হাফিজ সাহেব ভারতে গেলেন চিকিৎসা করতে। তোমরা ভারতে চিকিৎসা করতে যাবা, পেঁয়াজ খাবা, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস খাবা, শাড়ি পরবা, ভারত থেকে আসা অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করবা। আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবা।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ এবং ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ভারতের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক এবং কয়েক হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। আমরা একে অপরের সহযোগী। এই সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের এ অঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত করতে হবে। এ সহযোগিতা বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে অব্যাহত রাখতে হবে।