লিওনেল মেসিকে ছাড়া একটা দল কতখানি অসহায় হতে পারে, সেটার উদাহরণ হয়ে থাকবে তার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা। মেসি যাওয়ার পর থেকেই রীতিমত ধুঁকতে হয়েছে ক্লাবটিকে। ইউরোপিয়ান পর্যায় কিংবা ঘরোয়া, সাফল্য পাওয়া যেন দুষ্কর ছিল বার্সার জন্য। ঠিক একই বাস্তবতা এবার দেখতে হচ্ছে ইন্টার মায়ামিকেও। মেসি না থাকা যেন মায়ামির দূর্ভোগের বড় কারণ।
মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল মায়ামি। তবে নিউইয়র্কের বিপক্ষে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের। গুণে গুণে এক হালি গোল হজম করেছে টাটা মার্টিনোর শিষ্যরা।
চোটের কারণে লিওনেল মেসি ছিটকে গিয়েছিলেন আগেই। দলের সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়াই মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে নিউইয়র্ক রেড বুলসের মাঠে গিয়েছিল মায়ামি। নিজেদের চিরায়ত ফর্মেশন ছেড়ে এদিন ৩-৫-২ ফর্মেশনে খেলতে নেমেছিল হর্নেটসরা। লক্ষ্য ছিল কিছুটা আক্রমণাত্মক ফুটবলের।
কিন্তু নিজেদের সেই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে ইন্টার মায়ামির জন্য। এক লুইস মরগানের কাছেই হেরেছে তারা। হ্যাটট্রিক করে মায়ামিকে বড় হারের লজ্জা দিয়েছেন তিনি। অন্য গোলটি করেন উইকেলমেন কারমোনা।
রেড বুল অ্যারেনায় নিউইয়র্কের এগিয়ে যেতে লাগে মাত্র ৩ মিনিট। এরপর চেষ্টা করেও প্রথমার্ধে সমতা ফেরাতে পারেনি মায়ামি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে টানেলে ফেরে দুই দল। বিরতির পর মাঠে আসতে বেশ অনেকটা সময় দেরি করে মায়ামি। যা নিয়ে বেশ সমালোচনাও সইতে হয়েছে তাদের।
সমালোচনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাজে পারফর্ম্যান্স। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটেই গোল করে ব্যবধান ২–০ করেন লুইস মরগান। ৬৬ মিনিটে ইন্টার মায়ামির জালে তৃতীয়বারের মতো বল জড়ান উইকেলমান কারমোনা। ৪ মিনিট পর দলের চতুর্থ এবং নিজের তৃতীয় গোলটি করেন মরগান।
এই হারের পর এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে মায়ামি। ৬ ম্যাচে মায়ামির পয়েন্ট ১০, আর শীর্ষে থাকা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৫ ম্যাচে ১১।