গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি প্রধানমন্ত্রীর
- আপডেট সময় : ০৭:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
- / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সফররত ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউবের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ দাবি জানান। রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নীরব অবস্থানের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি এক ধরনের ভন্ডামি।’
এ সময় গাজায় বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, কিন্তু তা বন্ধে কেউ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৬৭ সালে গৃহীত প্রস্তাব অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল যে, পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাঁর দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাসহ ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন। গাজায় মৃত্যুর জন্য শোকও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মিশরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দুই দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় আওয়াজ তুলেছি।’
এ সময় ১৯৯৭ সালে ফিলিস্তিনের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতের বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার নিঃশর্ত সমর্থন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আওয়াজ তোলার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই উদ্দেশ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। সেখানে খাদ্যের তীব্র সংকট বিরাজ করছে এবং মানুষ অনাহারে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।’
জেবরেল আলরজউব জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ। তিনি বলেন, ‘আরব দেশগুলোতে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করলেও তারা ঐক্যবদ্ধ নয়। তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সহজেই বন্ধ হয়ে যাবে। আরব বিশ্বের শক্তি ও সম্পদ আছে, শুধু ঐক্যই ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে পারে।’
ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দৃঢ় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান জেবরেল আলরজউব।
বৈঠকে ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন।