০১:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে রেকর্ড ব্যবধানে হারের লজ্জা দিলো শ্রীলঙ্কা

সিলেট টেস্টে সফরকারী শ্রীলঙ্কা ধৈর্যের পরীক্ষায় উতরে গেলেও পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশ। ব্যাটারদের হতশ্রী ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হলো পুরো দলকে। টেস্ট ম্যাচে রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার লঙ্কানদের বিপক্ষে। ২০০৯ সালে ৪৬৫ রানে তাদের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার সেই লঙ্কানদের বিপক্ষে ফের রেকর্ড ব্যবধানেই হারতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। রানের দিক থেকে ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয় দেখতে হলো সিলেটে।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.২ ওভারে ১৮২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩২৮ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে ১৪৮ বলে অপরাজিত ৮৭ রান করেন মুমিনুল হক।

সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের হারের ব্যবধান ৩২৮ রানে। আগের দিনের ৪৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দিন শেষের পর চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ লড়েছে লাঞ্চের কিছুটা বেশি। একপ্রান্তে মুমিনুল হক টিকে থেকে দেখেছেন বাকিদের আসা যাওয়া। হার অনুমিতই ছিল। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ আর শরিফুল ইসলামের কল্যাণে সেটা খানিক দেরিতেই এসেছে।

তাইজুলের বিদায়ের পর দারুণ এক জুটি গড়েন মমিনুল ও মিরাজ। বেশ সাবলীল ব্যাটিং করেন এই দুই ব্যাটারা। তবে, খেই হারিয়ে ফেলেন মিরাজ। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় রাজিথার বলে স্লিপে থাকা ধনঞ্জয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে এই ‍দুইজনের ৬৬ রানের জুটি। পরবর্তীতে শরিফুলকে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়ে লাঞ্চ বিরতিতে যান মুমিনুল।

লাঞ্চের পর শরিফুলকে নিয়ে গড়েন ৮১ বলে ৪৭ রানের জুটি। তবে, সেই জুটি ভাঙে রাজিথার বলে শরিফুলের বিদায়ে। দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় রাজিথার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪২ বলে ১২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন মুমিনুল।

এর আগে, ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু মেন্ডিসের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় লঙ্কানরা। মেন্ডিস ১৫৬ ও ধনঞ্জয়া ১০৮ রান করেন। এই দুই ব্যাটার সদ্য সমাপ্ত টেস্টের প্রথম ইনিংসেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তাদের দুইজনের সেই অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করেই প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে, মাত্র ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ৯২ রানের লিড পায় সফরকারীরা। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট আগামী ৩০ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশকে রেকর্ড ব্যবধানে হারের লজ্জা দিলো শ্রীলঙ্কা

আপডেট : ০৩:০০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

সিলেট টেস্টে সফরকারী শ্রীলঙ্কা ধৈর্যের পরীক্ষায় উতরে গেলেও পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশ। ব্যাটারদের হতশ্রী ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হলো পুরো দলকে। টেস্ট ম্যাচে রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার লঙ্কানদের বিপক্ষে। ২০০৯ সালে ৪৬৫ রানে তাদের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার সেই লঙ্কানদের বিপক্ষে ফের রেকর্ড ব্যবধানেই হারতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। রানের দিক থেকে ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয় দেখতে হলো সিলেটে।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.২ ওভারে ১৮২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩২৮ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে ১৪৮ বলে অপরাজিত ৮৭ রান করেন মুমিনুল হক।

সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের হারের ব্যবধান ৩২৮ রানে। আগের দিনের ৪৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দিন শেষের পর চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ লড়েছে লাঞ্চের কিছুটা বেশি। একপ্রান্তে মুমিনুল হক টিকে থেকে দেখেছেন বাকিদের আসা যাওয়া। হার অনুমিতই ছিল। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ আর শরিফুল ইসলামের কল্যাণে সেটা খানিক দেরিতেই এসেছে।

তাইজুলের বিদায়ের পর দারুণ এক জুটি গড়েন মমিনুল ও মিরাজ। বেশ সাবলীল ব্যাটিং করেন এই দুই ব্যাটারা। তবে, খেই হারিয়ে ফেলেন মিরাজ। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় রাজিথার বলে স্লিপে থাকা ধনঞ্জয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে এই ‍দুইজনের ৬৬ রানের জুটি। পরবর্তীতে শরিফুলকে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়ে লাঞ্চ বিরতিতে যান মুমিনুল।

লাঞ্চের পর শরিফুলকে নিয়ে গড়েন ৮১ বলে ৪৭ রানের জুটি। তবে, সেই জুটি ভাঙে রাজিথার বলে শরিফুলের বিদায়ে। দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় রাজিথার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪২ বলে ১২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন মুমিনুল।

এর আগে, ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু মেন্ডিসের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় লঙ্কানরা। মেন্ডিস ১৫৬ ও ধনঞ্জয়া ১০৮ রান করেন। এই দুই ব্যাটার সদ্য সমাপ্ত টেস্টের প্রথম ইনিংসেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তাদের দুইজনের সেই অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করেই প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে, মাত্র ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ৯২ রানের লিড পায় সফরকারীরা। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট আগামী ৩০ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।