০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ জনের ফিলিস্তিনের কাছে বাংলাদেশের হার

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে জয় উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। সে লক্ষ্যে প্রথমার্ধে ফিলিস্তিনকে আটকে রাখতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয়ার্ধেও সফল ছিলেন জামালরা। কিন্তু ইনজুরি টাইমের শেষ মুহূর্তের গোলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। এ মাঠে পাঁচ ম্যাচ খেলে প্রথম কোনো হার দেখল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এর আগে প্রথম লেগে কুয়েতে ৫-০ গোলে হেরেছিল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।

কিংস অ্যারেনায় পঞ্চম ম্যাচে এসে আপরাজিত থাকার দর্পও চূর্ণ হলো বাংলাদেশের। ২০০৬ সালের ড্রয়ের পর ফিলিস্তিনের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা সাত ম্যাচ হারল দল।

কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের প্রথমার্ধের লড়াইয়ে বাংলাদেশের রক্ষণকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে বেশ কয়েকবার। মিতুল মারমার দুর্দান্ত কিছু সেভের কল্যাণে গোল হজম করতে হয়নি জামাল-তপুদের। অন্যদিকে বাংলাদেশও আক্রমণে গেছে কয়েকবার। একটি সহজ গোলের সুযোগ মিস করেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।

ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে ফাহিমের উদ্দেশ্যে থ্রু বল পাঠান। দুই ডিফেন্ডারকে পাশে রাখে ফাহিম বল পেয়েছিলেন ঠিকই। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি ফাহিম। প্রথমার্ধে এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ, যেটি মিস করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা বাংলাদেশের ভালো হয়নি৷ ৪৮তম মিনিটে শাকিলের ব্যাকপাস মিতুল বাড়াতে গিয়ে ফিলিস্তিনের দাবাগকে বল দিয়ে দেন। ফাঁকা জালে মিস করেন আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিকম্যান। দশ মিনিট পর সেই দাবাগের অসাধারণ হেড মিতুল মারমা দুর্দান্ত সেভ করেন। আলাদিন হাসানের দূরপাল্লার শটও ভালো সেভ করেন মিতুল।

৭০ মিনিটে বাংলাদেশ কোচ কয়েকটি পরিবর্তন করেন৷ জামাল ও ফাহিমকে তুলে সোহেল রানা (জুনিয়র) ও রফিকুল ইসলামকে নামান কোচ। ৭৩তম মিনিটে নিখুঁত স্লাইডে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন বিশ্বনাথ। একটু পর মিতুল ফেরান ওদেই খারৌবের শট। দশ মিনিট পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মিতুল, বদলি নামেন মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

৯০তম মিনিটে মাহমুদ ধাধার হেড অল্পের জন্য যায় বাইরে। এরপরই ইসা ফয়সালের পাস ধরে বক্সে গোলরক্ষককে পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি রাকিব। গোলরক্ষকের চার্জে বল হারানোর সঙ্গে পড়ে যান তিনি। এই ফরোয়ার্ডকে জোর করে তুলতে গিয়ে লাল কার্ড দেখেন আহমেদ মাহাজনেহ।

দশ জনের ফিলিস্তিনই ‘ডেডলক’ খোলে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে। বাত্তার ক্রসে বার্তান ইসলাম হেড পাসে বল দেন বক্সে ফাঁকায় থাকা তেরমানিনিকে। নিখুঁত কোনাকুনি শটে বাংলাদেশের এতক্ষণের প্রতিরোধ, পয়েন্ট পাওয়ার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেন তিনি।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ‘আই’ গ্রুপে এ নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭-০ গোলের হার দিয়ে গ্রুপ পর্বে যাত্রা শুরুর পর কিংস অ্যারেনাতেই লেবাননের বিপক্ষে কাবরেরার দল করেছিল ১-১ গোলে ড্র। কুয়েতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম লেগে হেরেছিল ৫-০ ব্যবধানে।

১০ জনের ফিলিস্তিনের কাছে বাংলাদেশের হার

আপডেট : ০৬:৫৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে জয় উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। সে লক্ষ্যে প্রথমার্ধে ফিলিস্তিনকে আটকে রাখতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয়ার্ধেও সফল ছিলেন জামালরা। কিন্তু ইনজুরি টাইমের শেষ মুহূর্তের গোলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। এ মাঠে পাঁচ ম্যাচ খেলে প্রথম কোনো হার দেখল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এর আগে প্রথম লেগে কুয়েতে ৫-০ গোলে হেরেছিল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।

কিংস অ্যারেনায় পঞ্চম ম্যাচে এসে আপরাজিত থাকার দর্পও চূর্ণ হলো বাংলাদেশের। ২০০৬ সালের ড্রয়ের পর ফিলিস্তিনের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা সাত ম্যাচ হারল দল।

কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের প্রথমার্ধের লড়াইয়ে বাংলাদেশের রক্ষণকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে বেশ কয়েকবার। মিতুল মারমার দুর্দান্ত কিছু সেভের কল্যাণে গোল হজম করতে হয়নি জামাল-তপুদের। অন্যদিকে বাংলাদেশও আক্রমণে গেছে কয়েকবার। একটি সহজ গোলের সুযোগ মিস করেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।

ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে ফাহিমের উদ্দেশ্যে থ্রু বল পাঠান। দুই ডিফেন্ডারকে পাশে রাখে ফাহিম বল পেয়েছিলেন ঠিকই। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি ফাহিম। প্রথমার্ধে এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ, যেটি মিস করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা বাংলাদেশের ভালো হয়নি৷ ৪৮তম মিনিটে শাকিলের ব্যাকপাস মিতুল বাড়াতে গিয়ে ফিলিস্তিনের দাবাগকে বল দিয়ে দেন। ফাঁকা জালে মিস করেন আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিকম্যান। দশ মিনিট পর সেই দাবাগের অসাধারণ হেড মিতুল মারমা দুর্দান্ত সেভ করেন। আলাদিন হাসানের দূরপাল্লার শটও ভালো সেভ করেন মিতুল।

৭০ মিনিটে বাংলাদেশ কোচ কয়েকটি পরিবর্তন করেন৷ জামাল ও ফাহিমকে তুলে সোহেল রানা (জুনিয়র) ও রফিকুল ইসলামকে নামান কোচ। ৭৩তম মিনিটে নিখুঁত স্লাইডে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন বিশ্বনাথ। একটু পর মিতুল ফেরান ওদেই খারৌবের শট। দশ মিনিট পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মিতুল, বদলি নামেন মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

৯০তম মিনিটে মাহমুদ ধাধার হেড অল্পের জন্য যায় বাইরে। এরপরই ইসা ফয়সালের পাস ধরে বক্সে গোলরক্ষককে পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি রাকিব। গোলরক্ষকের চার্জে বল হারানোর সঙ্গে পড়ে যান তিনি। এই ফরোয়ার্ডকে জোর করে তুলতে গিয়ে লাল কার্ড দেখেন আহমেদ মাহাজনেহ।

দশ জনের ফিলিস্তিনই ‘ডেডলক’ খোলে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে। বাত্তার ক্রসে বার্তান ইসলাম হেড পাসে বল দেন বক্সে ফাঁকায় থাকা তেরমানিনিকে। নিখুঁত কোনাকুনি শটে বাংলাদেশের এতক্ষণের প্রতিরোধ, পয়েন্ট পাওয়ার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেন তিনি।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ‘আই’ গ্রুপে এ নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭-০ গোলের হার দিয়ে গ্রুপ পর্বে যাত্রা শুরুর পর কিংস অ্যারেনাতেই লেবাননের বিপক্ষে কাবরেরার দল করেছিল ১-১ গোলে ড্র। কুয়েতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম লেগে হেরেছিল ৫-০ ব্যবধানে।