ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল-স্পেন

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৮৭ মিনিটের পেনাল্টি গোলে হার নিয়ে ব্রাজিলকে মাঠ ছাড়তে হবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু চোটাঘাতে ক্লান্ত ব্রাজিলের তরুণরা হাল ছাড়েননি। ফল, ৯৪ মিনিটে পেনাল্টি আদায়। ৯৬ মিনিটে লুকাস পাকেতার গোলে ৩-৩ সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

সমতায় ম্যাচ শেষ হলেও খেলায় কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল স্পেন। প্রীতি ম্যাচ হলেও দুই দলের মধ্যে শরীরী ভাষায় তার রেশ ছিল না। মারামারি না হলেও দুই বেঞ্চের মধ্যে কথার লড়াই হয়েছে, হয়েছে বাগ-বিতণ্ডা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাগতিক দল রেফারির সহানুভূতি বেশি পাওয়াটা যাতে ভালোই প্রভাব রেখেছে।

বার্নাব্যুতে খেলা বলে দুই রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো ঘরের মাঠেই খেলেছেন। কিন্তু শুরুতে আলো ছড়িয়েছেন বার্সেলোনার কিশোর তারকা লামিন ইয়ামাল। ১৬ বছর বয়সী এই উইঙ্গারকে বক্সে ফাউল করেন জোয়াও গোমেস। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে ধাক্কাটা খুব হালকা ছিল। পর্তুগিজ রেফারির কাছে সেটাই পেনাল্টি মনে হয়েছে। ভিএআর না থাকায় ক্ষোভ থাকলেও রদ্রির গোল মেনে নিতে হয় ব্রাজিলকে।

৩৬ মিনিটে দানি ওলমো দুই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে নাটমেগ করে নাস্তানাবুদ করেছেন। তারপর পোস্টের কোণ ঘেঁষা শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন। তবে চার মিনিট পর স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমনের ভুল কাজে লাগিয়ে এক গোল ফিরিয়ে দেন রদ্রিগো।

বর্তমান ঘরের ছেলের গোলে উৎসাহিত হয়েই হয়তো দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামানো হয় এন্দরিককে। দুই দিন আগেই ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক গোলদাতার রেকর্ড গড়া এই ব্রাজিলিয়ান আগামী মৌসুমে মাদ্রিদের হয়েই খেলবেন। ৫০ মিনিটে এক কর্নার থেকে ম্যাচে সমতা ফেরান ১৭ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।

এরপর দুই দল যেন মল্লযুদ্ধে নেমেছল। জয়ের জন্য বল কাড়ার লড়াইয়ে মেজাজ হারিয়েছিল দুই দলই। এর মধ্যে এন্দরিকের একটি ফাউল ছিল লাল কার্ড দেখার মতো। এ নিয়ে মাঠে স্প্যানিশ খেলোয়াড়রা মেজাজ হারিয়েছেন, গ্যালারিতে নিরাপত্তারক্ষীদেরো ব্যস্ত হতে হয়েছে দর্শক সামলাতে।

৮৬ মিনিটে আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ পেনাল্টি পায় স্বাগতিক দল। ব্রাজিল বেঞ্চের ক্ষোভ আবার উত্তেজনা ছড়ায়। দানি কারভাহালকে ফাউলের অভিযোগে পেনাল্টি পায় স্পেন। সেখান থেকে আবার গোল রদ্রির। তবে মাদ্রিদ রাইটব্যাকই স্পেনকে জয় পেতে দেননি।

যোগ করা সময়ে গালেনোকে ফেলে দেন কারভাহাল। এরপর পেনাল্টি থেকে বাকি কাজটা করেন পাকেতা। ম্যাচ শেষেও দুই বেঞ্চের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলতে থাকে বেশ কিছুক্ষণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল-স্পেন

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

৮৭ মিনিটের পেনাল্টি গোলে হার নিয়ে ব্রাজিলকে মাঠ ছাড়তে হবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু চোটাঘাতে ক্লান্ত ব্রাজিলের তরুণরা হাল ছাড়েননি। ফল, ৯৪ মিনিটে পেনাল্টি আদায়। ৯৬ মিনিটে লুকাস পাকেতার গোলে ৩-৩ সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

সমতায় ম্যাচ শেষ হলেও খেলায় কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল স্পেন। প্রীতি ম্যাচ হলেও দুই দলের মধ্যে শরীরী ভাষায় তার রেশ ছিল না। মারামারি না হলেও দুই বেঞ্চের মধ্যে কথার লড়াই হয়েছে, হয়েছে বাগ-বিতণ্ডা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাগতিক দল রেফারির সহানুভূতি বেশি পাওয়াটা যাতে ভালোই প্রভাব রেখেছে।

বার্নাব্যুতে খেলা বলে দুই রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো ঘরের মাঠেই খেলেছেন। কিন্তু শুরুতে আলো ছড়িয়েছেন বার্সেলোনার কিশোর তারকা লামিন ইয়ামাল। ১৬ বছর বয়সী এই উইঙ্গারকে বক্সে ফাউল করেন জোয়াও গোমেস। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে ধাক্কাটা খুব হালকা ছিল। পর্তুগিজ রেফারির কাছে সেটাই পেনাল্টি মনে হয়েছে। ভিএআর না থাকায় ক্ষোভ থাকলেও রদ্রির গোল মেনে নিতে হয় ব্রাজিলকে।

৩৬ মিনিটে দানি ওলমো দুই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে নাটমেগ করে নাস্তানাবুদ করেছেন। তারপর পোস্টের কোণ ঘেঁষা শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন। তবে চার মিনিট পর স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমনের ভুল কাজে লাগিয়ে এক গোল ফিরিয়ে দেন রদ্রিগো।

বর্তমান ঘরের ছেলের গোলে উৎসাহিত হয়েই হয়তো দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামানো হয় এন্দরিককে। দুই দিন আগেই ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক গোলদাতার রেকর্ড গড়া এই ব্রাজিলিয়ান আগামী মৌসুমে মাদ্রিদের হয়েই খেলবেন। ৫০ মিনিটে এক কর্নার থেকে ম্যাচে সমতা ফেরান ১৭ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।

এরপর দুই দল যেন মল্লযুদ্ধে নেমেছল। জয়ের জন্য বল কাড়ার লড়াইয়ে মেজাজ হারিয়েছিল দুই দলই। এর মধ্যে এন্দরিকের একটি ফাউল ছিল লাল কার্ড দেখার মতো। এ নিয়ে মাঠে স্প্যানিশ খেলোয়াড়রা মেজাজ হারিয়েছেন, গ্যালারিতে নিরাপত্তারক্ষীদেরো ব্যস্ত হতে হয়েছে দর্শক সামলাতে।

৮৬ মিনিটে আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ পেনাল্টি পায় স্বাগতিক দল। ব্রাজিল বেঞ্চের ক্ষোভ আবার উত্তেজনা ছড়ায়। দানি কারভাহালকে ফাউলের অভিযোগে পেনাল্টি পায় স্পেন। সেখান থেকে আবার গোল রদ্রির। তবে মাদ্রিদ রাইটব্যাকই স্পেনকে জয় পেতে দেননি।

যোগ করা সময়ে গালেনোকে ফেলে দেন কারভাহাল। এরপর পেনাল্টি থেকে বাকি কাজটা করেন পাকেতা। ম্যাচ শেষেও দুই বেঞ্চের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলতে থাকে বেশ কিছুক্ষণ।