আ. লীগের সবাই পালিয়ে গিয়েছিল, তাহলে যুদ্ধটা করলো কে: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৫:০০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
- / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারাই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিএনপি ইতিহাস বিকৃত করে ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছে। বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, কোন মেজরের বাঁশির ফু’তে দেশ স্বাধীন হয়নি। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নাকি গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায়। বিএনপির নেতারা বলেন- ২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে গিয়েছিল। তাহলে যুদ্ধটা করলো কে? জিয়াউর রহমান ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী। জিয়াউর রহমানকে প্রমোশন দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার, অকৃতজ্ঞরা সেটাও ভুলে যায়।
সরকারপ্রধান বলেন, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল যারা প্রশ্ন করেন, তারা কোথায় ছিল? ২৫ মার্চ যে আক্রমণ বাঙালিদের ওপর চালায়, একজন আক্রমণকারী জিয়াউর রহমান। যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব আনতেই সামরিক অফিসারকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল। এটা নিয়ে বড়াই করার কিছু নেই। জিয়া যুদ্ধ করেনি, যুদ্ধের সময়ে নিজেকে নিরাপদ যায়গায় রাখতো। তার সেক্টরেই সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা মারা যান।
শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা পেয়েছি। আবার বড় বড় দেশের বৈরিতা পেয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যারা সহযোগিতা করেছে তাদের সম্মান দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জন্য কাজ হয় তা এখন প্রমাণিত।
বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্যের জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলছেন, গণতন্ত্র কোথায়? গণতন্ত্র আপনি দেখবেন কীভাবে। না দেখতে পারা তাদের মুদ্রাদোষ বলা যায়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী? গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল। এটাই তো। ক্যান্টনমেন্টের হাতে ক্ষমতা থাকলে গণতন্ত্র থাকবে? যাদের হাতে ডান্ডা আছে, তাদের হাতে ক্ষমতা থাকলে আপনারা ঠান্ডা? জনগণের হাতে ক্ষমতা থাকুক চান না?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু আঁতেল আছে এদেশে, বুদ্ধিজীবী! বুদ্ধি বেচিয়া জীবিকা নির্বাহ করে যারা। বুদ্ধির অবশ্যই দরকার আছে। কারণ বুদ্ধি না হলে তো দেশ এগোতে পারবে না। জনগণের গণতন্ত্রে তারা বিশ্বাস করে না। কিছু অতিবাম ও অতিডান একসঙ্গে হয়ে গেছে। বিপ্লব করতে করতে দাঁড়ি-কমা-সেমিকোলন হতে হতে তারা নিজেরাই শেষ হয়ে গেছেন।’
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে ক্ষোভ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারও পাকের ঘরে যেন ভারতীয় মসলা না দেখা যায়। এটা তারা করতে পারবে কিনা? আপনারা রংঢং করতে ওস্তাদ। সত্যিকার অর্থে বর্জন করছেন কিনা, এটা জানতে চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি, বিএনপির বহু মন্ত্রীর বউ ওখানে গিয়ে শাড়ি কিনে এনে এখানে বেচতো। আমি বিএনপি নেতাদের বলব, তাদের বউরা যেন ভারতীয় শাড়ি না পরেন। যেদিন ওগুলো এনে অফিসের সামনে পোড়াবেন, সেদিন বিশ্বাস করব, আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন।’