Dhaka ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাবার অপচয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • ৬৩ দেখেছেন

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটির বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন বিশ্বে না খেয়ে থাকছেন ৮০ কোটি মানুষ। জতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে এক জন মাানুষ গড়ে বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করে। যা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও রাশিয়ার চাইতেও বেশি। খবর সিএনএন

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার অপচয় হয়েছে। যা বাসা বাড়ি, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য সেক্টরে প্রস্তুতকৃত খাবারের এক এক-পঞ্চমাংশ।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি) ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট-২০২৪ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খাবার অপচয়কে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি বছরে গড়ে সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় করে মালদ্বীপে—২০৭ কেজি। বিপরীতে সবচেয়ে কম খাবার নষ্ট হয় মঙ্গোলিয়ায়—১৮ কেজি।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানে গড় খাবার অপচয় হয় ১৩০ কেজি, নেপালে ৯৩ কেজি, মিয়ানমারে ৭৮ কেজি, শ্রীলঙ্কায় ৭৬ কেজি, ও ভারতে ৫৫ কেজি। কাছাকাছি দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম অপচয় হয়েছে ভুটানে – ১৯ কেজি।

সূচক অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে খাবার অপচয় করেন ৭৩ কেজি। যুক্তরাজ্যের তা ৭৬ কেজি। চীনের ক্ষেত্রেও হিসাবটা একই। তবে তুলনামূলক কম অপচয় হয়েছে রাশিয়ায়—৩৩ কেজি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে অপচয় হওয়া খাবারের ৬০ শতাংশই বাসাবাড়ির। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। ২৮ শতাংশ অপচয় হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যানটিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোয়। কসাই ও মুদিদোকানে অপচয় হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়; বরং ‘পরিবেশগত ব্যর্থতা’। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি।

ওই প্রতিবেদনে ব্যক্তির খাবার নষ্টের পরিমানও বলা হয়েছে। একজন ব্যক্তি প্রতিবছর ৭৯ কেজি খাবার নষ্ট করে। এছাড়া ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এটা আমাকে হতভম্ব করে দিয়েছে। আসলে বছরের প্রতিদিন এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, তা দিয়ে বর্তমানে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব।’

খাবার অপচয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

আপডেট : ০১:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটির বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন বিশ্বে না খেয়ে থাকছেন ৮০ কোটি মানুষ। জতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে এক জন মাানুষ গড়ে বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করে। যা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও রাশিয়ার চাইতেও বেশি। খবর সিএনএন

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার অপচয় হয়েছে। যা বাসা বাড়ি, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য সেক্টরে প্রস্তুতকৃত খাবারের এক এক-পঞ্চমাংশ।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি) ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট-২০২৪ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খাবার অপচয়কে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি বছরে গড়ে সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় করে মালদ্বীপে—২০৭ কেজি। বিপরীতে সবচেয়ে কম খাবার নষ্ট হয় মঙ্গোলিয়ায়—১৮ কেজি।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানে গড় খাবার অপচয় হয় ১৩০ কেজি, নেপালে ৯৩ কেজি, মিয়ানমারে ৭৮ কেজি, শ্রীলঙ্কায় ৭৬ কেজি, ও ভারতে ৫৫ কেজি। কাছাকাছি দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম অপচয় হয়েছে ভুটানে – ১৯ কেজি।

সূচক অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে খাবার অপচয় করেন ৭৩ কেজি। যুক্তরাজ্যের তা ৭৬ কেজি। চীনের ক্ষেত্রেও হিসাবটা একই। তবে তুলনামূলক কম অপচয় হয়েছে রাশিয়ায়—৩৩ কেজি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে অপচয় হওয়া খাবারের ৬০ শতাংশই বাসাবাড়ির। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। ২৮ শতাংশ অপচয় হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যানটিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোয়। কসাই ও মুদিদোকানে অপচয় হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়; বরং ‘পরিবেশগত ব্যর্থতা’। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি।

ওই প্রতিবেদনে ব্যক্তির খাবার নষ্টের পরিমানও বলা হয়েছে। একজন ব্যক্তি প্রতিবছর ৭৯ কেজি খাবার নষ্ট করে। এছাড়া ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এটা আমাকে হতভম্ব করে দিয়েছে। আসলে বছরের প্রতিদিন এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, তা দিয়ে বর্তমানে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব।’