মুক্তিপণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো অগ্রগতি না হলেও সোমালি জলদুস্যুরা ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। মজুত খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দস্যুরা নিজেরাই তাদের খাবার সংগ্রহ করছে। মালিকপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভালো লক্ষণ। তাই জিম্মি মুক্তিতে দেরি হবে না।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আক্রান্ত হয় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটির নাবিকদের জিম্মি হওয়ার পর পার হয়েছে ১৭ দিন। আক্রান্ত হওয়ার সময় এমভি আবদুল্লাহতে ২৫ দিনের খাবার ছিল। আর বিশুদ্ধ পানি ছিল ২০০ টন। যা দিয়ে একমাস চলতে পারার কথা।
কিন্তু ২৩ জন নাবিকদের সঙ্গে প্রথমদিকে জলদস্যুরা খাবার ও পানিতে ভাগ বসালে সংকট শুরু হয়। এই সংকট আঁচ করতে পেরে জলদস্যুরা কয়েকদিন থেকে নিজেরা খাবার সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান। সেক্ষেত্রে ছাগল বা দুম্বা তীর থেকে আনছে দস্যুরা। অনেক সময় নাবিকদেরও সেই খাবারের ভাগ দেওয়া হচ্ছে। তবে বিশুদ্ধ পানি রেশনিং করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ফলে খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই জানিয়ে মালিক প্রতিষ্ঠান বলছে, এটা খুব ইতিবাচক দিক। ফলে দস্যুদের সঙ্গে চলমান আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।
‘আলোচনা শুরু হলো। এখন তারা কী চায় সেটার ওপর আমরা আগ্রসর হচ্ছি। সবকিছুর ওপরে আমাদের লক্ষ্য ২৩ নাবিককে নিরাপদে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করা।’— বলেন কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
অন্যদিকে, নাবিক সংগঠনের নেতারা মনে করছেন, দুস্যুরা অনেকটা সন্তুষ্ট। সুতারাং, আলোচনার দরকষাকষিতে খুব বেশি সময় লাগবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
‘আলোচনা শুরু হয়েছে এটা ইতিবাচক দিক। আলোচনার টেবিলে দুইপক্ষের আলোচনায় একটা উপায় বের হয়ে আসবে। মালিকপক্ষ অভিজ্ঞ। তারা আগে থেকেই একটা প্ল্যান করে রেখেছে। তাদের আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয় দ্রুতই জিম্মিদের উদ্ধার সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।’— বলেন মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী।
জাহাজে থাকা নাবিকরা কয়েকদিন পর পর দেশে যোগাযোগ করতে পারছে বলে জানিয়েছে স্বজনরা।