ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য, এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এটা বর্জন করলেই শেষ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‌‘মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বর বলেন, আজ ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। বর্জন করার তো করছেই, এখন এটাকে তাড়ানো যায় কি না। তাহলেই তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতির মুক্ত হওয়া সম্পন্ন। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা গণতান্ত্রিক বিশ্বের মানুষ আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাশে না থাকতো, তাহলে আমরা ৭ তারিখের আমি, ডামি, স্বামী, সমকামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না। এজন্যই এই ঝামেলা শুরু হয়েছে।

গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহহমান যদি স্বাধীনতার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়? সেই কাগজটি কোথায়? জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের (বিএনপি) কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত জাতির অন্তরে, ইতিহাসে। জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা কখনোই সম্ভব নয়। আজকের ইতিহাস কখনোই পরিপূর্ণ ইতিহাস নয়।

জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস কখনও লেখা সম্ভব নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আর সেই ইতিহাস পরিপূর্ণ হবে না।

বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের কাহিনি মনে আছে না? তখন সুজাতা সিং এরশাদের সঙ্গে কি করেছে মনে নেই? প্রতিবারই তো ভারত এসে নির্বাচন করে দিয়ে যায়।

‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’র উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো. রহমতুল্লাহ, রফিক সিকদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতিদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য : গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য, এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এটা বর্জন করলেই শেষ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‌‘মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বর বলেন, আজ ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। বর্জন করার তো করছেই, এখন এটাকে তাড়ানো যায় কি না। তাহলেই তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতির মুক্ত হওয়া সম্পন্ন। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা গণতান্ত্রিক বিশ্বের মানুষ আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাশে না থাকতো, তাহলে আমরা ৭ তারিখের আমি, ডামি, স্বামী, সমকামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না। এজন্যই এই ঝামেলা শুরু হয়েছে।

গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহহমান যদি স্বাধীনতার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়? সেই কাগজটি কোথায়? জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের (বিএনপি) কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত জাতির অন্তরে, ইতিহাসে। জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা কখনোই সম্ভব নয়। আজকের ইতিহাস কখনোই পরিপূর্ণ ইতিহাস নয়।

জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস কখনও লেখা সম্ভব নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আর সেই ইতিহাস পরিপূর্ণ হবে না।

বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের কাহিনি মনে আছে না? তখন সুজাতা সিং এরশাদের সঙ্গে কি করেছে মনে নেই? প্রতিবারই তো ভারত এসে নির্বাচন করে দিয়ে যায়।

‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’র উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো. রহমতুল্লাহ, রফিক সিকদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতিদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।