ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইরানি ফিশিং জাহাজ ছিনতাই করল সোমালিয়ার জলদস্যুরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের জাহাজ এমভি রুয়েন ও বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর মধ্যে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এমভি রুয়েন ও এর নাবিকদের উদ্ধার করেছে ভারতের নৌবাহিনী। তবে এমভি আবদুল্লাহ এখনো জলদস্যুদের কবলে। এরই মধ্যে আরেকটি জাহাজ ছিনতাই করেছে জলদস্যুরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, আরব সাগরে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিনতাই হয় ইরানি ফিশিং জাহাজ ‘আল–কাম্বার ৭৮৬’। ৯ জন অস্ত্রধারী এই জাহাজ ছিনতাই করেছে। তবে ছিনতাইয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের নৌবাহিনীর দুটো যুদ্ধজাহাজ।

এরই মধ্যে শুক্রবার দুটো যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ইরানি ওই জাহাজের অবস্থান ছিল সুকত্রা থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণপশ্চিমে আরব সাগরে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, জলসীমায় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ভারত দুটো যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। শুক্রবার এই দুই জাহাজ ইরানি জাহাজের কাছে চলে যায়। আশা করা যাচ্ছে শিগগির ওই জাহাজ ও এর নাবিকদের উদ্ধার করা যাবে।

৪০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি রুয়েন’ থেকে ১৭ নাবিককে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই সময় ৩৫ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন। সম্প্রতি তাদের আনা হয় ভারতে। এবার এদের মধ্যে আটজনের ফরেনসিক টেস্ট করেছে ভারত। জানা গেছে বিস্তারিত তথ্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ভারতে আনার পর সোমালি জলদস্যুদের শাস্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এদের অনেকেই বলছিলেন, বয়স ১৮ বছরের কম। এ কারণে মুম্বাইয়ে তাঁদের ফরেনসিক টেস্ট করা হয়।

ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে বলছে, ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা এমভি রুয়েনের মাধ্যমে জলদস্যুদের ছিনতাইচেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়। এটি ভারতীয় উপকূল থেকে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা ছিল। এই অভিযানে আইএনএস সুভদ্র নামের আরেকটি ভারতীয় জাহাজও অংশ নেয়। উদ্ধার হওয়া সেই জাহাজে ৩৭ হাজার টন কার্গো ছিল, যার বাজারমূল্য ১০ লাখ ডলার।

এই অভিযানে বেশ কয়েকটি জাহাজ, ড্রোন, আকাশযান ও ম্যারিন কমান্ডো অংশ নেয়। নজরদারি করার সময় এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজ শনাক্ত করে ভারতীয় নৌবাহিনী। এই জাহাজটি উদ্ধার করতে এরপর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতাকে পাঠায়। ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এটি শুক্রবার এমভি রুয়েনের কাছে যায়। জাহাজটি গত ডিসেম্বরে ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানি ফিশিং জাহাজ ছিনতাই করল সোমালিয়ার জলদস্যুরা

আপডেট সময় : ১১:২২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভারতের জাহাজ এমভি রুয়েন ও বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর মধ্যে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এমভি রুয়েন ও এর নাবিকদের উদ্ধার করেছে ভারতের নৌবাহিনী। তবে এমভি আবদুল্লাহ এখনো জলদস্যুদের কবলে। এরই মধ্যে আরেকটি জাহাজ ছিনতাই করেছে জলদস্যুরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, আরব সাগরে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিনতাই হয় ইরানি ফিশিং জাহাজ ‘আল–কাম্বার ৭৮৬’। ৯ জন অস্ত্রধারী এই জাহাজ ছিনতাই করেছে। তবে ছিনতাইয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের নৌবাহিনীর দুটো যুদ্ধজাহাজ।

এরই মধ্যে শুক্রবার দুটো যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ইরানি ওই জাহাজের অবস্থান ছিল সুকত্রা থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণপশ্চিমে আরব সাগরে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, জলসীমায় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ভারত দুটো যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। শুক্রবার এই দুই জাহাজ ইরানি জাহাজের কাছে চলে যায়। আশা করা যাচ্ছে শিগগির ওই জাহাজ ও এর নাবিকদের উদ্ধার করা যাবে।

৪০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি রুয়েন’ থেকে ১৭ নাবিককে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই সময় ৩৫ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন। সম্প্রতি তাদের আনা হয় ভারতে। এবার এদের মধ্যে আটজনের ফরেনসিক টেস্ট করেছে ভারত। জানা গেছে বিস্তারিত তথ্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ভারতে আনার পর সোমালি জলদস্যুদের শাস্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এদের অনেকেই বলছিলেন, বয়স ১৮ বছরের কম। এ কারণে মুম্বাইয়ে তাঁদের ফরেনসিক টেস্ট করা হয়।

ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে বলছে, ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা এমভি রুয়েনের মাধ্যমে জলদস্যুদের ছিনতাইচেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়। এটি ভারতীয় উপকূল থেকে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা ছিল। এই অভিযানে আইএনএস সুভদ্র নামের আরেকটি ভারতীয় জাহাজও অংশ নেয়। উদ্ধার হওয়া সেই জাহাজে ৩৭ হাজার টন কার্গো ছিল, যার বাজারমূল্য ১০ লাখ ডলার।

এই অভিযানে বেশ কয়েকটি জাহাজ, ড্রোন, আকাশযান ও ম্যারিন কমান্ডো অংশ নেয়। নজরদারি করার সময় এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজ শনাক্ত করে ভারতীয় নৌবাহিনী। এই জাহাজটি উদ্ধার করতে এরপর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতাকে পাঠায়। ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এটি শুক্রবার এমভি রুয়েনের কাছে যায়। জাহাজটি গত ডিসেম্বরে ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা।